প্রশ্ন উঠছে কেন বাতিল করা হবে ২ হাজার টাকার নোট? কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার টাকার নোটের ৮৯ শতাংশই ২০১৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ চালু করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে ২ হাজার টাকার নোট। সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে গোপালি রঙের ২ হাজার টাকার নোট। তারপরই প্রশ্ন উঠছে কেন বাতিল করা হবে ২ হাজার টাকার নোট? কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার টাকার নোটের ৮৯ শতাংশই ২০১৭ সালের মার্চ মাস নাগাদ চালু করা হয়েছে।
কেন বাতিল ২ হাজার টাকার নোট
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গর্ভনর আর গান্ধী শুক্রবার বলেছেন, তিনি মনে করেন ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাকার করার মধ্যে দিয়ে সরকার চাইছে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ করতে। তিনি আরও বলেছেন তিনি মনে করেন ২ হাজার টাকার নোটের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা মজুত করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় তিনি মুদ্রা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। নোটবন্দি বা নোটবাতিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর গান্ধী এদিন পিটিআইকে বলেছেন, ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের জন্য অর্থ প্রদানের ওপর কোনও পদ্ধতিগত প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ নোটগুলি অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে বড় অঙ্কের লেনদেনের অধিকাংশই ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়।
তিনি মনে করেন ভারতীয় অর্থনীতিতে কালো টাকার প্রভাব কমাতেই ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, নোটবন্দির উদ্দেশ্যও ছিল অর্থনীতিকে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুরনো নোট প্রতিস্থাপনের জন্য। একই মূল্যের নতুন নোটের সিরিজ চালু করে।
২ হাজার টাকার নোটবন্দি নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্য
২ হাজার টাকার নোট বাতিল নিয়ে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছে। সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, এটা আমাদের স্ব-শৈলিযুক্ত বিশ্বগুরুর বৈশিষ্ট্য- প্রথমে কাজ করা হবে তারপর সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা হবে। কাজের পরই পরিকল্পনা করা। গোটা বিষয়টিকে তিনি বিনতুঘলতকের ফরমানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, নোটবন্দির ফলে বিপর্যয়ের সূচনা হয়েছিল ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। সেইসময় ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোটবালিত করা হয়েছিল রাতারাতি। এখনও সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এবার ফরমান এসেথে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করার। কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরম বলেন, ২০১৬ সালে সরকার ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল। কিন্তু চাপে পড়ে ৫০০ টাকার নোট ফিরিয়ে এনেছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন এবার যদি ১ হাজার টাকার নোট সরকার ফিরিয়ে আনে তাহলে তিনি অবাক হবেন না।