টাকা পয়সা নয়, প্রণামী হিসেবে নেওয়া হয় স্যানিটারি ন্যাপকিন! জানেন এই মন্দির কোথায় রয়েছে?

এই মন্দির গোটা দেশের মধ্যে বিরল। বলা বাহুল্য, গোটা বিশ্বে এই মন্দির বিরলতম। নিশ্চয়ই ভাবছেন এ কেমন মন্দির! কী এমন আছে এই মন্দিরে! তাহলে জেনে রাখুন সেই অজানা তথ্য।

মন্দিরময় দেশ ভারত। এক এক মন্দিরে এক এক নিয়ম। কোথাও আমিষ ভোগ, কোথাও প্রসাদ হিসেবে মদ। কোথাও আবার আরাধ্যকে সোনা রুপো দেওয়ার চল। তবে এই মন্দির গোটা দেশের মধ্যে বিরল। বলা বাহুল্য, গোটা বিশ্বে এই মন্দির বিরলতম। নিশ্চয়ই ভাবছেন এ কেমন মন্দির! কী এমন আছে এই মন্দিরে! তাহলে জেনে রাখুন সেই অজানা তথ্য।

এই মন্দির রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। সেখানকার বিখ্যাত অন্নপূর্ণা মন্দিরে প্রণামী হিসেবে নেওয়া হয় স্যানিটারি ন্যাপকিন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সেখানে ফুলের মালা কিংবা প্রসাদি মিষ্টির বদলে ভক্তরা স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট হাতে হাজির হন। সেসব নিয়ে মন্দিরের কারও কোনও ছুঁতমার্গ নেই। বরং দেবী মূর্তির সামনেই সেইসব প্যাকেট রাখা হয়। শুধু তাই নয়, অনেকে মেনসট্রুয়াল কাপও দান করেন এই মন্দিরে। এরপর যে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে ওঠে, তা হল সেসব দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ঠিক কী করে?

Latest Videos

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, যাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সামর্থ নেই তাঁদের সকলকেই বিনামূল্যে অন্নপূর্ণা মন্দিরের অভিনব প্রসাদ বিলি করা হয়। মন্দিরে দান হিসেবে জমা পড়া সমস্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন চলে যায় ভোপালের এক এনজিও-র হেফাজতে। তাঁরাই দায়িত্ব নিয়ে বাকি কাজ সারেন। নিয়মিত সেইসব বিলি করে দেওয়া হয় বিভিন্ন গ্রামের মহিলাদের মধ্যে।

সংস্থার কর্ণধার দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানান, এমন ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে অসমের কামাখ্যা মন্দির। সেখানে প্রতি বছর দেবীর ঋতুমতী অবস্থাকে উদযাপন করা হয়। সেখান থেকে তাঁর মনে হয়, দেবীর পুজোর অন্যতম অঙ্গ হতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এরপর তিনি গবেষণা করে দেখেন, এমন মহিলার সংখ্যা নেহাত কম নয়, যাঁদের প্রতি মাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সামর্থ নেই। যার জেরে তাঁদের অনেকেই নানা যৌনরোগে ভোগেন।

এরপরই মন্দিরে প্রণামী হিসেবে এমন অভিনব ব্যবস্থা চালু হয়। সংস্থার তরফেই দায়িত্ব নিয়ে, বিভিন্ন সরকারি স্কুল বা বস্তি এলাকায় ওই স্যানিটারি ন্যাপকিন দান করা হয়। শুধু তাই নয়, মন্দিরে আরও দুই বিশেষ দানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমে অন্নদান, এক্ষেত্রে ভক্তরা মন্দিরে চাল,ডাল জাতীয় খাদ্য সামগ্রী দান করতে পারেন। এরপর রয়েছে বিদ্যাদান। যেখানে পড়াশোনা সংক্রান্ত জিনিসপত্র, যেমন বইখাতা, পেন, পেন্সিল এইসব দান করা যেতে পারে। আর শেষে আরোগ্য দান। এক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন বা মেন্সট্রুয়াল কাপ দান করা নিয়ম। এই সবই একটা সময়ের পরে গরীবদের মধ্যে দান করে দেওয়া হয়।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘মমতা West Bengal-কে London বানাতে গিয়ে Lahore বানিয়ে ফেলেছেন’ Mamata-কে চরম খিল্লি Dilip Ghosh-এর
'ভারত চাইলে ২ মিনিটে ইউনুসকে ফানুস বানিয়ে ছাড়বে', চরম কটাক্ষ করলেন Samik Bhattacharya
'জাতীয় যা কিছু আছে সবাইকে অপমান করাই TMC-র কাজ!' #shorts #shortsvideo #shortsfeed #shortsviral
Kho Kho World Cup 2025: দেশের বুকে এবার খো খো বিশ্বকাপ, ভারতীয় দলকে কারা নেতৃত্ব দেবেন?
সীমান্তে অনুপ্রবেশের মাষ্টারমাইন্ড বাংলাদেশের BGB? কড়া জবাব দেবে BSF | India Bangladesh Border |