নির্ভয়া নিয়ে তড়িঘড়ি ট্যুইট গম্ভীরের, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ

  • নির্ভয়া কান্ডে দোষীদের ফাঁসির দিন ঘোষণা করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট
  • এই রায়ের পরেই টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর
  • কয়েক মিনিটের মধ্যেই কয়েক হাজার লাইকের সংখ্যা অতিক্রম করে
  • গৌতম গম্ভীরের টুইটকে গ্রহণ করাটা কীভাবে হবে সেটাই এখন দেখার

Riya Das | Published : Jan 7, 2020 12:19 PM IST / Updated: Jan 07 2020, 06:02 PM IST

নির্ভয়াকান্ডে দোষীদের ফাসির দিন ঘোষণা করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আর এই রায়ের পরেই টুইট করেছেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর। তিনি লিখেছেন শেষমেশ ভারতের মেয়ে বিচার পেল। হ্যাশট্যাগ নির্ভয়া দিয়ে হওয়া এই পোস্ট কয়েক মিনিটের মধ্যেই কয়েক হাজার লাইকের সংখ্যা অতিক্রম করে। রিটুইট করেন কয়েক হাজার মানুষ। 

গৌতম গম্ভীর ইস্ট দিল্লির সাংসদ। নির্ভয়া কান্ড দিল্লির যে স্থানে ঘটেছিল সেই এলাকার একদম লাগোয়া এই ইস্ট দিল্লি। নির্ভয়াকান্ড যখন ঘটেছিল তখন রাজনীতিকবিদদের দিকে অনেকে আঙুল তুলেছিলেন। এমনকী তৎকালীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধেও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সামনে দিল্লির রাজনৈতিক মহলের হয়েছিল থরহরি কম্প। যার তুমুল আঁচ লেগেছিল ইন্ডিয়া গেট থেকে শুরু করে বিজয় চকের মধ্যে। সেইদিন অর্থাৎ ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে হাজার হাজার মানুষ তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল এই এলাকা জুড়ে। পরবর্তীকালে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে যায় দিল্লির মসনদ। এমনকী কংগ্রেসের বদলি হিসেবে বিজেপিও সে সময় মানুষের কাছে  গ্রহণযোগ্যতা অধিকার করতে পারেনি বরং সেই ফায়দাটা পুরো তুলে নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। 

দিল্লিতে এখন ভোটের আবহ। কংগ্রেস কার্যত লড়াইয়ে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ওপিনিয়ন পোলে দাবি করা হচ্ছে জোড় লড়াই আপ এবং বিজেপির মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে  গত এক মাস ধরেই তপ্ত দিল্লির পরিবেশ। এনআরসি, সিএএ, এবং এনপিআর নিয়ে দিল্লিতে বিক্ষোভ, অবস্থান এবং মিছিল চলছে। শাহিনবাগ থেকে জওহরহলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় সবজায়গাতেই গণরোষের এবং গণ-অসন্তোষের আবহ প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির এই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও রাজনৈতিকভাবে আপ-কে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সুতরাং নির্ভয়াকে নিয়ে  গৌতম গম্ভীরের এই চটজলদি ট্যুইট অন্য এক রাজনৈতিক কৌশলেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ আর দিনকয়েক পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে ভোটের প্রচার। আর তাতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই নিশানা হবে মানুষের ভাবাবেগ। তাই গৌতম গম্ভীরের টুইটকে গ্রহণ করাটা কীভাবে হবে সেটাই এখন দেখার। 

Share this article
click me!