পাকিস্তানি মহিলার প্রেমের ফাঁদে পড়েই সর্বনাশ! ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী হয়ে গেল দেশবিরোধী গুপ্তচর

উত্তর প্রদেশের এটিএস আরও বলেছে, মহিলার নাম পূজা মেহরা। গত বছরই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় অনলাইনে। মহিলা পূজা মেহরা নাম নিয়েই অনলাইনে একটি প্রোফাইল তৈরি করেছিল।

 

Saborni Mitra | Published : Feb 15, 2024 4:06 PM IST / Updated: Feb 15 2024, 09:37 PM IST

মস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সত্যেন্দ্র সিওয়াল পাকিস্তানি মহিলার হানিট্র্যাপের শিকার। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের হাপুরের শাহমহিউদ্দিনপুরের গ্রামের বাড়িতে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। উত্তর প্রদেশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের সূত্রের খবর অনলাইনে পাকিস্তানের মহিলার হানিট্র্যাপের শিকার হয়েই সত্যেন্দ্র তথ্য পাচার করেছে।

উত্তর প্রদেশের এটিএস আরও বলেছে, মহিলার নাম পূজা মেহরা। গত বছরই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় অনলাইনে। মহিলা পূজা মেহরা নাম নিয়েই অনলাইনে একটি প্রোফাইল তৈরি করেছিল। ধীরে ধীরে পূজা সত্যেন্দ্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করে। তারপর ভাব জমায়। তারপরই ভারতের যুদ্ধবিমান এবং সাবমেরিন সহ ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্র সিস্টেম সম্পর্কিত গোপন নথি হাতিয়ে নেয়। মিরাটের এটিএস ইন্সপেক্টর রাজীব ত্যাগী তেমনই জানিয়েছে। সিওয়াল রয়েছে এটিএস হেফাজতে।

Electoral Bonds: ইলেকটোরাল বন্ড অসাংবিধানিক, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টের

সিওয়াল আরও বলেছেন, মহিলাকে তিনি যে সব নথি দিয়েছেন, সেগুলি এখনও তার ফোনেই রয়েছে। সিওয়ালের ফোন ও তার অন্যান্য গেজেটগুলি ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটিএস ইলেকট্রনিক এবং শারীরিক নজরদারির মাধ্যমে তার তদন্তে খুঁজে পেয়েছে যে তিনি আইএসআই হ্যান্ডলারদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী ভারত বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। এটিএস আরও বলেছে, পূজা মেহরা নামের ওই মহিলার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালনা করে।

Viral Video: কেন হচ্ছে কৃষক আন্দোলন? মোদীর জনপ্রিয়তাই কারণ বললেন আন্দোলকারী কৃষক, দেখুন ভিডিও

সিওয়াল ২০২১ সাল থেকেই মস্কোতে কর্মরত। গত ৪ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মৌ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, সিওয়ালের পরিবারের সদস্যরা হাপুরে তাদের নিজ গ্রামে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছে, পুলিশ জানিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক বলেছেযে তারা সিওয়ালের গ্রেপ্তার এবং এই মামলায় তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সচেতন ছিল।

সন্দেশখালির ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্য প্রশাসনেরও তীব্র নিন্দা করেছে

 

Share this article
click me!