রবিবার দুপুর থেকেই নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। প্রাথমিকভাবে সেই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হলেও ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। সেখান থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি-মথুরা হাইওয়ে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আগুণ, ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল।
আরও পড়ুনঃ রেল, পথ অবরোধ চলছে, মিছিলে যোগ দিতে আবেদন মমতার
এখানেই শেষ নয়, সন্ধের সময় জামিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের ভেতরে থাকা পড়ুয়াদের পুলিশ বাহিনী বের করে নিয়ে আসে রবিবার। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই ছিলেন যাঁরা বিক্ষোভে অংশ নেননি। বদলে লাইব্রেরি ও ক্লাস রুমেই অভিকাংশ পড়ুয়া ছিল। তাঁদের হাত তুলে আত্মসমর্পনের ভঙ্গিতে বার করে নিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয় নেট দুনিয়া থেকে বিভিন্ন বিশিষ্টব্যক্তিরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনঃ সিএবি-র প্রতিবাদে সোমবারও উত্তাল বাংলা, ক্রমেই বাড়ছে বাতিল ট্রেনের তালিকা
রবিবার রাত ১১ টা থেকে ধরনায় বসে ছাত্রছাত্রীরা। যাদবপুর ৮ বি বাসস্ট্যান্ডের সামনেই আন্দোলন করে ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা প্রশ্ন তোলে ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। অন্যদিকে সোমবার কাক ভোরে পথে নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জামিয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তাঁরা রাজারহাট-নারকেলবাগানের রাস্তা আটকে রাখে। পরবর্তীতে সেই পড়ুয়ারা চলে আসে চিংড়িঘাটা মোড়ে, সেখানে এসে নাগরিকত্ব আইনের কপি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও যান চলাচল স্বাভাবিক করে।