করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চলছে গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি। এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতে মামলা নির্বাচনে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদেকে চিঠি দিলেন এক আইনজীবী।
ওই আইনজীবির অভিযোগ মামলার রেজিস্ট্রির সময় আদালতের এক্সিকিউটিভ উইং বৈষম্যমূলক ব্যবহার করে। প্রভাবশালী আইনজীবী এবং ল ফার্মগুলি এক্ষেত্রে সুবিধা পায়।
আরও পড়ুন: দেশে লকডাউন উঠলেও শিথিল হচ্ছে না কঠোর নিয়ম, ৩০ জুন পর্যন্ত করা যাবে না কোনও জনসমাবেশ
আইনজীবী রীপক কানসাল প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন, "এটা নিয়মিত বিষয় হয়ে গিয়েছে যে কিছু ল ফার্ম ও প্রভাবশালী আইনজীবিকে সেকশন অফিসার রেজিস্ট্রির সময় সুবিধা দিয়ে থাকেন।" তাঁর দাবি, এই নিয়ে অভিযোগ জানানোর কোনও ব্য়বস্থা নেই। এই বিষয়ে এক টিভি সাংবাদিকের আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি যাঁর বিরুদ্ধে হাজার খানেক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। টিভি ব্যক্তিত্বের আবেদন অনুযায়ী দ্রুত শুনানির কথা বলা হলেও এর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার কাগজপত্র যাচাই করে তা নথিভুক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতেও শুরু হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা
ওই আইনজীবী চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, গত ১৭ এপ্রিল তিনি একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটা সুপ্রিম কোর্টে রেজিস্ট্রার হয়নি। প্রধান বিচারপতিকে পাঠান চিঠির দুটি কপি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনকেও পাঠিয়েছেন তিনি।
মামলার দীর্ঘ তালিকা নিয়ে এর আগেও শীর্ষ আদালতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারিতেই বোর্ড বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দেখিয়েছে ৬০ হাজার । পুরো বিষয়টি কম্পিউটারাইজড হলেও প্রায়শই বিশিষ্ট সংস্থাগুলি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা কীভাবে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে নেয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । রেজিস্ট্রি অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রায়শই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়। অনিয়মের আভাস মিললেও, বিচারকরা কখনও চিরাচরিত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য খুব বেশি কিছু করেছিলেন বলে জানা যায় নি।