সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল বিবাহবিচ্ছেদ মামলা। এই মামলায় আবেদনকারী ছিলেন স্বামী।
সুপ্রিম কোর্ট একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার ওপরও বেশি জোর দিয়েছে। কিন্তু আর্থিক পরিমাণ কী হবে তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে। যদিও বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও বলেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল বিবাহবিচ্ছেদ মামলা। এই মামলায় আবেদনকারী ছিলেন স্বামী। আর বিবাদী পক্ষে ছিলেন স্ত্রী। তাদের প্রায় দুই দশকের বিয়ে। স্বামীর অভিযোগ ছিল স্ত্রী অতি সংবেদনশীল। তাঁর পরিবারের সঙ্গে উদাসীন আচরণ করেন। পাল্টা স্ত্রীর অভিযোগ স্বামীর আচরণ নিয়ে।
দুজনেই দীর্ঘ দিন আলাদা আলাদা ছিল। কিন্তু তাদের নতুন করে সংসার শুরু করার আর কোনও সুযোগ ছিল না। আদালত বিয়ে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে অন্তর্বর্তী রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা ছিল। কিন্তু আদালত সেই পথ প্রসস্ত করে বিয়ে ভাঙায় ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতেও নির্দেশ দেয় আদালত।
স্থায়ী ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ করার সময় আদালত আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার কথা বলে। সেই ফ্যাক্টরগুলি হলঃ
১। বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের সামাজিক, আর্থিক অবস্থা।
২। স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা।
৩। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা।
৪। দুই জনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ।
৫। বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে তার মান।
৬। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা।
৭। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ।
৮। স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তার আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ যে উপরোক্ত কারণগুলি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ মামলায়। আদালত আরও বলেছে, স্থানীয় ভরণপোষণের পরিমাণ এমন হতে হবে যা স্বামীর ওপর যেন কোনও ভাবেই বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। পাশাপাশি বিচ্ছেদের পর স্ত্রী একটি শালীন জীবন কাটাতে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।