ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন চালুর জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সোমবার শীর্ষ আদালত বলে — ‘প্রভাব খাটিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণের প্রবণতা রুখতে না পারলে ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যা মাথাচাড়া দেবে।
কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের একটা গোটা গ্রামকে ধর্মান্তকরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিলো সারা দেশে। কোভিডের সময় যখন গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যাচ্ছিলো অতিমারীতে , তখন কোভিড থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাদের খ্রিষ্টান ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করেছিল একদল বাইবেলপন্থী। তারও আগেও জোর করে মুসলিম ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছিল কেরলের দুই বাসিন্দার বিরুদ্ধে। এই যে ধর্মান্তরিতকরণের একের পর এক নজির কোথাও শিউরে দিয়েছে গোটা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেও। তাই সম্প্রতি জোর করে ধর্মান্তরণকে ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’ বলে চিহ্নিত করল সুপ্রিম কোর্ট। ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন চালুর জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সোমবার শীর্ষ আদালত বলে — ‘প্রভাব খাটিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণের প্রবণতা রুখতে না পারলে ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যা মাথাচাড়া দেবে।আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন ,এর আগে এইবিষয়ক দুটি আইন ছিল। একটি ছিল ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশের। এই আইন দ্বারা প্রতারণা, মিথ্যা বা জালিয়াতি, অর্থের মাধ্যমে যে কোনও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষ ফরমান জারি ছিল । এই বিষয়গুলি বিবেচনার জন্য আদালতের সামনে ফের বিষয়টি উপস্থাপনা করলে ,শীর্ষ আদালত এর বৈধতা বহাল রেখেই উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত দেন.'
বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি হিমা কোহলিকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে নির্দেশ দিয়েছে, জোর করে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে সম্ভাব্য সরকারি পদক্ষেপের বিষয়ে হলফনামা পেশ করতে। সলিসিটর জেনারেলকে বেঞ্চ বলে, ‘‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের আন্তরিক প্রচেষ্টা করা উচিত। না হলে খুব কঠিন পরিস্থিতি তৈর হবে। আপনি কী পদক্ষেপের প্রস্তাব করেন, তা আমাদের বলুন। আপনাকে পদক্ষেপ করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, ‘লভ জেহাদ’ রোখার যুক্তি দিয়ে ইতিমধ্যেই ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন পাশ করিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্য। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনের সমালোচকদের যুক্তি, দেশের সংবিধানে যেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমানাধিকার এবং বৈষম্যহীনতার কথা বলা রয়েছে, সেখানে এই ধরনের আইন অসাংবিধানিক। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুনানি ছিল আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনের। সেখানে আবেদন জানানো হয়েছিল, জোর করে এবং লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে দেশের সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিক কেন্দ্র।
আরও পড়ুন
মিজোরামের হান্থিয়াল জেলার পাথরখনিতে ধ্বস , আটকে বিহারের ১৫ জন শ্রমিক
পিকনিকে যাওযার পথে বিপত্তি, উত্তরপ্রদেশে বাস উল্টে শিশু দিবসে নিহত ২
সম্প্রতি বিয়ে করলেন ডোনাল্ড-ট্রাম্পের কন্যা টিফানি, জেনে নিন এই হাই - প্রোফাইল বিয়ের নানা খুঁটি-নাটি