এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। পাশাপাশি চুক্তিভিক্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী
এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য বেসরকার সংস্থার ১ হাজার ৫১৪ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
আপত্তি সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে আপত্তি জানান। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ও ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার।
প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মী নিয়োগ
এদিন সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মী নিয়োগের আবেদন করেন। বিশেষ করে হাসপাতালগুলিতে।
প্রশ্ন প্রধানবিচারপতিও
এদিন আদালতে চুক্তিভিক্তিক কর্মী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারতি। তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করলে, ডাক্তার, বিশেষত মহিলা ডাক্তাররা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন। পুলিশ ব্যারাক থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে ঢুকে পড়েছিল অভিযুক্ত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
এখন আবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। তারা গোটা হাসপাতালে কাজ করবে। চিকিৎসক, বিশেষত মহিলা চিকিৎসকরা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ মনে করবেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি কর্মশক্তির বড় অংশই তরুণী। তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
হাসপাতালের পরিকাঠামো
হাসপাতালের পরিকাঠামো ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আগামী ৭-১৪ দিনের মধ্যে বিশ্রামাগার, শৌচাগার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী।
হাসপাতালে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা
সুপ্রিম কোর্ট এদিন হাসপাতালে বেশ কয়েকটি জায়গা, যেমন রেস্ট রুম, ডাক্তারদের শৌচাগার- এই স্থানগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেছে।
সিসিটিভি
আরজি কর হাসপাতালে ৭১৭টি সিসিটিভি ছাড়াও অতিরিক্ত ক্যামেরা বসাতে হবে।