নাবালিকা ধর্ষিতার গর্ভপাত করানো যাবে না- ঐতিহাসিক রায় বম্বে হাইকোর্টের

পিটিশনে মায়ের তরফে বলা হয়েছে যে ফেব্রুয়ারিতে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছিল এবং তিন মাস পরে রাজস্থানে পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে, যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ নাবালিকা ধর্ষণের নির্যাতিতার ২৮ সপ্তাহের ভ্রূণের গর্ভপাত করানোর আবেদনে সাড়া দেয়নি। ১৫ বছর বয়সী ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছেন, এ পর্যায়ে জোর করে ডেলিভারি করা হলেও শিশুটি জীবিত হবে। মুম্বই হাইকোর্টের বিচারপতি আরভি ঘুগে এবং বিচারপতি ওয়াইজি খোবরাগড়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নাবালিকা ধর্ষিতার মায়ের দায়ের করা একটি আবেদনের জবাবে আদেশ জারি করার সময় গর্ভপাতের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।

আবেদনে কী দাবি করা হয়েছিল?

Latest Videos

নাবালিকা ধর্ষণের শিকারের মায়ের দায়ের করা আবেদনে তিনি তার মেয়ের ২৮ সপ্তাহের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন। পিটিশনে মায়ের তরফে বলা হয়েছে যে ফেব্রুয়ারিতে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছিল এবং তিন মাস পরে রাজস্থানে পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে, যার জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেয়েটি তার পরিবারের কাছে ফিরে গেছে।

ডাক্তারদের মতামত কি ছিল?

মেয়েটিকে পরীক্ষা করা মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, নাবালিকার গর্ভপাত করা হলেও শিশুটি জীবিত জন্মগ্রহণ করবে। এর পাশাপাশি নবজাতক ও নাবালিকা উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে এবং শিশুটিকেও পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এই ক্ষেত্রে জোর করে প্রসবের ফলে সম্ভাব্য বিকৃতি সহ প্রিম্যাচিওর ও পঙ্গু শিশুর জন্ম হতে পারে।

হাইকোর্ট বলেছে, "যদি কোনো ক্ষেত্রে শিশুর জন্মের বা স্বাভাবিক প্রসবের মাত্র ১২ সপ্তাহ বাকি থাকে, আমরা মনে করি যে শিশুর স্বাস্থ্য এবং তার শারীরিক-মানসিক বিকাশ বিবেচনা করা প্রয়োজন।"

এদিনের রায়ে বম্বে হাইকোর্ট বলেছে যে যখন একটি জীবিত শিশুর জন্ম হতে চলেছে, আমরা ১২ সপ্তাহ পরে এবং ডাক্তারের পরামর্শে শিশুটিকে জন্ম দেওয়ার অনুমতি দিতে পারি। পরে যদি আবেদনকারী শিশুটিকে অনাথআশ্রমে দিতে চান, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন। হাইকোর্ট বলেছে, শিশুটি ভালোভাবে বিকশিত হলে এবং স্বাভাবিকভাবে পূর্ণ মেয়াদী শিশু হিসেবে জন্ম নিলে কোনো বিকৃতি থাকবে না এবং দত্তক নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার মা হাইকোর্টের কাছে দাবি করেন, শিশু প্রসব না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে এনজিও বা হাসপাতালে রাখার অনুমতি দেওয়া হোক। আদালত বলেছে যে মেয়েটিকে নাসিকের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা যেতে পারে যা গর্ভবতী মহিলাদের যত্ন নেয় বা ঔরঙ্গাবাদের মহিলাদের জন্য একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে পারে। হাইকোর্ট আরও বলেছে, সন্তানের জন্মের পর মেয়েটি সন্তানকে রাখা বা দত্তক নেওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষেত্রে নাবালিকার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত গণ্য করা হবে।

Share this article
click me!

Latest Videos

Malda-র রাস্তায় সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ কর্মসূচি! সচেতনার বার্তা র‍্যালির মাধ্যমে
RG Kar Case Update Today : চাইলেন না চরম শাস্তি! মোক্ষম চাল দিলো অভয়ার পরিবার | Calcutta High Court
এবার আগুনের গ্রাসে অন্য এলাকা! পুড়ছে স্যান দিয়েগো কাউন্টির একাধিক অংশ San Diego fire | Wildfires
Suvendu on Kartik Maharaj : কেন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ? খোলসা করে সবটাই বললেন শুভেন্দু
Suvendu on Trump : ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু অধিকারী, কারন জানলে অবাক হবেন