সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গ্লোবাল অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওএলএক্সে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই এই শোরগোল। যেখানে ভারতীয় বায়ু সেনার অংশ একটি মিগ-২৩বিএন যুদ্ধ বিমানকে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়েছে। ওলএক্সে যার দাম ধার্য হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এই বিজ্ঞাপণটি সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়।
২০০৯ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মিগ-২৩বিএন যুদ্ধ বিমানটি উপহার দিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। বিমানটি প্রায় 28 বছর ভারতীয় বিমানবাহিনীতে থাকার পরে অবসর নিয়েছিল। বর্তমানে এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংবিভাগের সামনে রাখা হয়েছে। সোমবার এই বিমানটির বিক্রির বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয় ওএলএক্সের সাইটে।
বিষয়ে প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কারা এর পিছনে রয়েছে এবং কে এই বিজ্ঞাপনটি ওএলএক্সে দিয়েছে তার সন্ধান চলছে।
সন্দেহ করা হচ্ছে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিই এক কাজ করেছেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি তুলে নেওয়া হয়। তবে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ওয়াসিম আলীর দাবি, ওএলএক্সে এই বিজ্ঞাপন দেওয়ার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন কোনও সদস্য জড়িত নন। বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনও উদ্বো নেয়নি। ছবিটি ওএলএক্স থেকে সরানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়েক অপমান করতেই কেউ এই ধরণের ষড়যন্ত্র করেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিগ ২৩ যুদ্ধ বিমানের বিভিন্ন অংশ ও প্রযুক্তি এবং নক্সা নিয়ে অধ্যয়ন করেন। এএমইউ-র জাকিস হুসেন কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির প্রিন্সিপাল প্রফেসর এম এম সুফিয়ান বেগ বলেন, অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ। আর সেই অনুসারেই মিগ সম্পর্কে পড়ুয়াদের বিশদে পড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের মাঝেই প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি মুম্বই, জারি করতে হল লাল সতর্কতা
সূত্রের খবর, দেশের মাত্র ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যে আলিগড় একটি যেখানে ভারতীয় সেনার ফাইটার জেট রয়েছে। আর উত্তরপ্রদেশের মধ্যে আলিগড়ই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ২৩ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
এর আগেও ওলএক্সে এই ধরণের আজগুবি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলেই স্ট্যাচু অফ ইউনিটির সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তি বেঁচে দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছিল দেশের করোনা যুদ্ধে টাকার যোগান দিতে মূর্তিটি বেঁচে দেওয়া হচ্ছে।
এরপরেই পুলিশ অজানা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করে। এরপরেই সাইট থেকে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়।