২০০১ সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের কচ্ছ ভুজে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। এটি গুজরাটে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়।
চোখে জল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু আচমকা এমন কী হল, যার জন্য কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। আসলে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছিলেন মোদী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং গুজরাটের ভুজে ২০০১ সালের ভূমিকম্পের ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করেন। যেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই চোখে জল দেখা যায় তাঁর।
তিনি তার ভাষণে বলেছিলেন যে ২০০১ সালে যখন ভুজে ভূমিকম্প হয়েছিল, তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মানবিক কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য পাঠানোর কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি তুরস্কের এই মুহূর্তে কী অবস্থা এবং সেখানকার মানুষ কী সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত গুজরাট
২০০১ সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের কচ্ছ ভুজে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। এটি গুজরাটে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়। কচ্ছ ও ভুজে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। একই সঙ্গে আহত হন দেড় লাখের বেশি মানুষ। ভূমিকম্পের জেরে গোটা গুজরাটে চার লক্ষেরও বেশি বাড়ি ধসে পড়ে। এর প্রভাব পাকিস্তানেও দেখা যায়।
এদিকে, ভারত থেকে এনডিআরএফ ও উদ্ধারকারী দল ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম ব্যাচ নিয়ে মঙ্গলবার ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত দেশে পৌঁছেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া দলটির ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যে তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ককে সহায়তা করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুর স্কোয়াড, চিকিৎসা সরবরাহ, ড্রিলিং মেশিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য দেশে একটি মেডিকেল টিমও পাঠিয়েছে। আগ্রার আর্মি ফিল্ড হাসপাতাল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত দেশে ৯৯ সদস্যের একটি মেডিকেল দল পাঠিয়েছে। যার মধ্যে অর্থোপেডিক সার্জিক্যাল দল, জেনারেল সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ দল এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। সোমবার তুরস্ক এবং সিরিয়ায় একটি শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, উভয় দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করে, চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং হাজার হাজার বাড়ি ধসে পড়ে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধানের জন্য ধাতব ও কংক্রিটের জাল দিয়ে চিরুনি তল্লাশি করছেন।