রিকি এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের অন্যান্য সংস্করণ করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে 'এই পরিবেশনটিই তিনি বহুদিন ধরে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।' তবে যাইহোক, এটি রিকি কেজের প্রথম প্রচেষ্টা নয়।
৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতীয়দের জন্য নয়া উপহারের ডালি সাজিয়েছেন তিনবারের গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী রিকি কেজ। দেশের জন্য তাঁর উপহার জাতীয় সঙ্গীতের নয়া সংস্করণ। ২০২৩ সালের ১১ই অগাষ্ট লীলা প্যালেসে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন, রিকি বলেছিলেন যে তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের একটি নতুন রূপ আনতে চলেছেন। তিনি বলেন, 'এই জাতীয় সঙ্গীত লন্ডনের ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রার সাথে গাওয়া হয়েছে। এর সময়সীমা মাত্র ৫২ সেকেন্ড।
রিকি এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের অন্যান্য সংস্করণ করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে 'এই পরিবেশনটিই তিনি বহুদিন ধরে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।' তবে যাইহোক, এটি রিকি কেজের প্রথম প্রচেষ্টা নয়। ২০২২ সালে, তিনি ভারতে বসবাসকারী ১২ জন শরণার্থী গায়কের সাথে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। তারা ছিলেন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনের মতো দেশ থেকে।
কেজ বলেন, জাতীয় সঙ্গীতটি তার কাছেও বিশেষ কারণ "একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি এটি শিখেছিলেন সঙ্গীতের প্রথম অংশ হিসেবে। এটি ছোটবেলায় শোনা প্রথম গানগুলির মধ্যে একটি।"
জাতীয় সঙ্গীত রেকর্ড করার জন্য সর্বকালের বৃহত্তম সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা:
কেজ বলেন, “ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত রেকর্ড করার জন্য এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা। ব্রিটিশরা ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের শাসন করার পরে, এটি একটি অতিরিক্ত বোনাস যে একজন ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী একটি ব্রিটিশ অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করছেন তাঁর দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর জন্য।
বিশ্বের জন্য সঙ্গীত উপহার;
রিকি কেজ, 'ভারতের গর্ব' হিসাবে বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সোমবার বিকাল ৫টায় বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ভারতীয়কে উপহার হিসাবে এই ৬০ সেকেন্ডের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিওটি যে কেউ ব্যবহার করতে বা স্ট্রিম করতে পারে। কেজ কোন কর্পোরেট সাহায্য ছাড়াই নিজের অর্থে এই প্রকল্পটি ডিজাইন করেছেন।
এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে কথা বলার সময়, ৪২ বছর-বয়সী সঙ্গীতশিল্পী বলেছিলেন যে তার লক্ষ্য ছিল একটি দুর্দান্ত অর্কেস্ট্রার সঙ্গে দেশের জাতীয় সঙ্গীত রেকর্ড করা। রয়্যাল ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রার দক্ষতাকে অতুলনীয় বলে অভিহিত করে, কেজ বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে তারাই এই মহান দেশের ঐতিহ্যপূর্ণ জাতীয় সঙ্গীতের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবে।
তিন মাস ধরে অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরে প্রকৃত রেকর্ডিং করতে মাত্র ৪৫ মিনিটের মত সময় লেগেছিল। চার থেকে পাঁচটি রিহার্সালে, সবকিছু ঠিকঠাক জায়গায় পরিকল্পনা করে এই জাতীয় সঙ্গীত রেকর্ড করা হয়। এই প্রয়াসের পিছনে প্রধান আকাঙ্খা ছিল জাতীয় সঙ্গীতের একটি সূক্ষ্ম উপস্থাপনা তৈরি করা। কেজের মতে, একটি ব্রিটিশ অর্কেস্ট্রা যে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করছে তা হল নয়া ভারতের প্রতিফলন। তার উদ্দেশ্য হল এই পরিবেশনাটি বিশ্বব্যাপী ভারতীয় সম্প্রদায়কে উপহার দেওয়া।