তিরুপতি মন্দিরের অর্থাৎ ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর দেশের আইটি সংস্থা ইউপ্রো, খাদ্য ও পানীয় সংস্থা নেসলে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পনি ওএনজিসির থেকেও বেশি ধনী। তিরুপতির সম্পত্তির বাজার মূল্য দেশের প্রথম সারির ওই সংস্থাগুলির তুলনায় বেশি।
Saborni Mitra | Published : Nov 6, 2022 6:19 PM IST / Updated: Nov 06 2022, 11:51 PM IST
৮৯ বছর পর হিসেব
তিরুমালা তুরুপতি দেবস্থানবানস অর্থাৎ মন্দির কমিটি ১৯৩৩ সালের পর এই প্রথম মন্দিরের সম্পদের পরিমাণ ঘোষণা করল। অর্থাৎ ৮৯ বছর পরে সম্পদের পরিমাণ জানাল। শুধুমাত্র হুন্ডী থেকেই আয় হয় ১ হাজার কোটি টাকা।
তিরুপতির সম্পদ
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বালাজি তিরুপতির ১০ টন সোনা রয়েছে। আর নগদ টাকার পরিমাণ ১৫,৯৩৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই সম্পত্তির পরিমাণ ২.২৬ কোটি টাকা।
মন্দিরের সম্পত্তি
মন্দিরের হাতে ৭৩৩৯.৭৪ টন সোনা ছিল। গত তিন বছরে ২.৯ টন সোনা দান করা হয়েছে মন্দিরকে। গোটা দেশ জুড়েই বালাজির সম্পত্তি রয়েছে বলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী মোট জমির পরিমাণ হল ৭,১২৩ একর। ৯৬০টি সম্পত্তি রয়েছে।
তিরুপতি ভারতীয় সংস্থার থেকেই ধনী
স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুসারে বর্তমান ট্রেডিং মূল্যে তিরুপতির নেট মূল্য ভারতের বেশ কয়েকটি নামি দামি সংস্থার থেকে বেশি। যার মধ্যে রয়েছে নেসলে, ইউপ্রো, ওএনজিসি।
উইপ্রোর সম্পত্তি
শুক্রবার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক ইউপ্রোর বাজারের মূলধন ২.১৪ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। যেখানে যেখানে আল্ট্রাটেক সিমেন্টের বাজার মূল্য ছিল ১.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা।
নেসলের সম্পত্তি
সুইস বহুজাতিক সংস্থা নেসলে। এটি খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত করে। ভারতীয় ইউনেটর বাজার মূলধন ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা। অন্যদিকে তিরুপতি মন্দিরের আয় হয় সাত পাহাড়ে কটেজ এবং গেস্ট হাউস সহ অমূল্য প্রাচীন গহনা এবং সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা ভক্তদের সুবিধা প্রদানের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে এবং তাই আনুমানিক সাধারণ সম্পদ মূল্যের অংশ নয়, মন্দিরের কর্মকর্তারা বলেছেন।বিস্তৃত সাতটি পাহাড় ভক্তদের দ্বারা পবিত্র এবং ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের বাসস্থান হিসাবে সম্মানিত।
ওএনজিসির সম্পত্তি
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওএনজিসির সম্পত্তিও মন্দিরের ট্রাস্টের তুলনায় কম। একই অপস্থা আরও এক তেল কোম্পনি আইওসি। পিছিয়ে রয়েছে গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মহিন্দ্রা, টাটা মোটর্স। মাইনিং কোম্পানি বেদান্ত ও রিয়েল এস্টেট ফার্মও জিএলএফও পিছিয়ে রয়েছে।
এগিয়ে মাত্র ২৪টি কোম্পানি
মন্দির ট্রাস্টের মোট সম্পত্তি যা তার থেকে মাত্র দুই ডজন কোম্পানির বাজার মূল্য বেশি। অর্থাৎ দেশের মন্দিরগুলির মধ্যে এটিকেও সবথেকে ধনী বলা যেতে পারে।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম (টিটিডি) আরও ধনী থেকে ধনী হচ্ছে কারণ পাহাড়ী মন্দিরে ভক্তদের দ্বারা তৈরি নগদ এবং সোনার নৈবেদ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সুদের হার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতগুলিও আরও আয় তৈরি করছে, মন্দিরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন।