মেঘালয় নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূলের তরজা। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। প্রেস কনফারেন্স করে জবাব দিলেন মহুয়া মৈত্র।
মেঘালয়ের ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী সরাসরি আক্রমণ করেল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূলকে বহিরাগত দল হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে বিশেষ সুবিধে করে দিচ্ছে। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন কংগ্রেসের হেডকোয়ার্টার দিল্লিতে। রাহুল গান্ধী দিল্লির মানুষ আর কংগ্রেসের প্রধান মাল্লিকার্জুন খাড়গে কর্নাটকের বাসিন্দা। অন্যদিকে বিজেপির হেডকোয়ার্টার নাগপুর আর দিল্লিতে। জেপি নাড্ডা হিমাচলের বাসিন্দা। অন্যদিকে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা গুজরাটের। তারাও এখানে আসছে নির্বাচনের জন্য । অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি মেঘালয়ে বাসিন্দা চার্লস। তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে দুইবারের মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। দলের নেতা কর্মীরা মেঘালয়ের তাহলে তৃণমূল কী করে বহিরাগত দল হল পাল্টা প্রশ্ন তুলে দেন মহুয়া মৈত্র। তিনি রাহুল গান্ধীর অন্য মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেই ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল । আর সেই কারণে বিজেপির সুবিধে তৃণমূল করছে এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মানস ভূঁইয়া প্রথম থেকেই রহুল গান্ধীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন। রাজ্যের সন্ত্রাস নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বাম সরকারের সমালোচনা করেন। বলেন তিনি দীর্ঘ দিনের বিধানসভায় সদস্য। জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে তিনি বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু সেই সময় বিজেপি ছিল না পশ্চিমবঙ্গে। সেই সময় বাম সরকার রাজ্যে বিরোধীদের ওপর অত্যাচার চালাত বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বামদের আমলে হাজার হাজার কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন কোনও আলোচনা হয়নি। বর্তমানে বাম আর বিজেপি হাত মিলিয়েছে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্য আরও অনেক শান্তিপূর্ণ বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন কংগ্রেস সেই সময় কোনও কাজ করেনি। কংগ্রেস সেই সময় কোনও প্রতিবাদ করেনি বলেও অভিযোগ করেন মানস ভূঁইয়া। তিনি আরও বলেন, তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলে ৫১ বছর। বিধায়ক ছিলেন দীর্ঘদিনের । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কিছু করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২ মার্চ। ৬০ আসনের মেঘালয়া বিধানসভায় ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক ফিগার ৩১। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশানাল পিপিস পার্টি। বিরোধী পক্ষে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে তৃণমূলই এই রাজ্যের বিরোধী দল। কারণ বছর দুইয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে মুকুল সাংমার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলের যোগ দেয়। তারপরই ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। যদিও পরবর্তীকালে বেশ কয়েকজন দলবদলু তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি ও ক্ষমতাসীন দল এনপিপিতে যোগ দেয়। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপিও রয়েছে ভোট ময়দানে।
আরও পড়ুনঃ
অ্যাডিনোভাইরাস থেকে সাবধান শিশুরা, কী করতে হবে জানালেন বিশেষ চিতিৎসক
LAC তে সেনা পাঠিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, চিন ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে তুলোধনা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের
Operation Dost: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অপারেশন দোস্তের সদস্যরা