২০১৮ সালের পর ফের বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। কাল, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ নির্বাচন হতে চলেছে ত্রিপুরায়। ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হবে ভোটগ্রহণ।
রাত পোহালেই ত্রিপুরায় নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রশাসন। ২০১৮ সালের পর পাঁচ বছর পর ফের ভোটযুদ্ধ ত্রিপুরায়। একদিকে ক্ষমাতাসীন দল বিজেপি অন্যদিকে ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা বামেরা। ভোটযুদ্ধে ময়দানে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট বাদ দিলেও থাকছে টিপ্রা মথা, তৃণমূল কংগ্রেস, আমরা বাঙালি ও নির্দল প্রার্থীরা। বর্তমানে ত্রিপুরায় শাসন চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে পুনরায় গড় উদ্ধার করতে মরিয়া বামেরা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কাছে বিরোধী ক্ষমতাকে হারানোই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর আগে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে আলোচনায় ছিল সেই নির্বাচন। এবারও সে রাজ্যে হিংসাত্মক পরিবেশে ভোট ইতিমধ্যেই আলোচিত হয়েছে।
২০১৮ সালের পর ফের বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। কাল, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ নির্বাচন হতে চলেছে ত্রিপুরায়। ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হবে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার। এদিকে ভোটের আগেও উত্তপ্ত বিশালগড়, চড়িলাম এলাকা। একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক বিরোধী সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসছে। এই আবহে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর উপর চড়াও হন বিজেপি মহিলা মোর্চার বেশ কিছু সদস্য। ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ে পদ্ম শিবিরের। এদিকে এই সমস্ত বিক্ষিপ্ত ঘটনাকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিরোধীরা। গড় রক্ষা করাই এখন বিজেপির কাছে মূল চ্যালেঞ্জ।
ত্রিপুরায় টাকা ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিআইএম। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের হারিয়ে ত্রিপুরার তখত দখল করে বিজেপি। ত্রিপুরায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে ত্রিপুরী সহ অন্যান্য উপজাতিদের ভোট। এই ভোটই নির্ধারণ করে কে গড়বে সরকার। ২০১৮ সালে বামেদের উপজাতি ভোট ভেঙে পড়লেও তাঁর আগে বরাবর উপজাতি ভোট ছিল বামেদের অনুকূলেই। এবারের নির্বাচনে উপজাতি এলাকার ভোট কতটা বিজেপির পক্ষে থাকবে সেটাই এখন পদ্ম শিবিরের বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটা বড় কারণ হল উপজাতি স্বশাসিত পরিষদে বিজেপির কোনও ক্ষমতা নেই। এবার দেখার উপজাতিদের ভোট এবার থাকে কোন দলের পাশে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িইয়েছেন মোট ২৫৯ জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৪ জন। এরমধ্যে ১৪ হাজার ৫ জন ব্রু উপজাতি শরণার্থী।
আরও পড়ুন -
কিং মেকার হতে চলেছে টিপরা মোথা পার্টি, প্রদ্যোৎ দেববর্মার হাতে কোন তুরুপের তাস