amartya lahiri | Published : Feb 25, 2020 9:25 AM IST / Updated: Feb 25 2020, 02:59 PM IST
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেখানে দুই রাষ্ট্রনেতা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ইসলামি চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদ থেকে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বড় বাজেটের প্রতিরক্ষা চুক্তি, শক্তি বিষয়ে চুক্তি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক যৌথ বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর কী বললেন -
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্ত আলোচনার তারপর প্রতিনিধি-পর্যায়ের বৈঠক, সেখান থেকে বেরিয়ে দুই নেতাই জানান ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এর আগে এতটা সুদৃঢ় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, জ্বালানী কৌশলগত অংশীদারী, বাণিজ্য, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক থেকে শুরু করে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করা অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ।
আমেরিকার সঙ্গে ভারত তিন বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। ভারত তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে অ্যাপাচে এবং এমএইচ -৬০ রোমিও হেলিকপ্টার সহ উন্নতমানের মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম কিনবে। ট্রাম্প বলেছেন, এতে করে ভারত-মার্কিন যৌথ প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উন্নতি হবে ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানের নাম না করে বলেন, ভারত ও আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের সমর্থনদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের সংকল্প করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বক্তব্য রাখার সময় বলেন, 'চরমপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় এবং নাগরিকদের সুরক্ষায় পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছি। আমরা পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ নির্মূল করতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছি'।
এছাড়া ভারত ও আমেরিকা জ্বালানি-সহ তিনটি বিষয়ে মউ স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, দুইদেশের জন্যই চুক্তিগুলি 'দুর্দান্ত'।
সেই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তা হল ৫জি প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের এর গুরুত্ব। একটি সুরক্ষিত ৫জি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কীভাবে স্বাধীনতা, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির হাতিয়ার হতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।