হ্যাক হওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির টুইটার অ্যাকাউন্টটি ফের ঠিক হয়ে যায়। হ্যাক হওয়ার সময় নাড্ডার অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে ‘আইসিজে ওনস ইন্ডিয়া’ রাখা হয়েছিল
ফের বিপাকে টুইটার। ফের হ্যাক হল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (Bharatiya Janata Party’s President JP Nadda) টুইটার অ্যাকাউন্ট। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ইউক্রেনের জন্য (support for Ukraine) ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুদান (cryptocurrency) চেয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়েছিল। যদিও, হ্যাক হওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির টুইটার অ্যাকাউন্টটি ফের ঠিক হয়ে যায়। হ্যাক হওয়ার সময় নাড্ডার অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে ‘আইসিজে ওনস ইন্ডিয়া’ রাখা হয়েছিল
হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন চেয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছে। হ্যাকারদের টুইটে লেখা, “ইউক্রেনের জনগণের পাশে দাঁড়ান। এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুদান গ্রহণ করা হচ্ছে। বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম।" টুইটটিতে হিন্দিতে একটি বার্তা এবং বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম ওয়ালেটের ঠিকানা ছিল। টুইটটি সকাল ৯.৫২ মিনিটে পোস্ট করা হয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে, অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে আরেকটি টুইট পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে ভারতীয়দের রাশিয়াকে সমর্থন করা উচিত বলে বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান হ্যাকিং সম্পর্কে সচেতন কেন্দ্র। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা CERT।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (আইএন্ডবি) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) এর টুইটার অ্যাকাউন্টগুলিও আংশিকভাবে হ্যাক করা হয়। রাত ২টো ১১ মিনিটে মোদীর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল @narendramodi-এর থেকে একটি স্প্যাম টুইট করা হয়। টুইটে বলা হয়, 'ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বিটকয়েনকে(Bitcoin) আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০০ BTC কিনেছে এবং তা দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে বিতরণ করছে।'
এদিকে এই টুইটের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই তা আবারও মুছেও ফেলা হয়। দ্বিতীয় টুইটটি ২.১৪ মিনিটে এসেছিল। যা প্রথমটিরই একটি অনুলিপি ছিল। এই টুইটটিও কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে ফেলা হয়। এদিকে ইতিমধ্যেই পিএমও-র তরফে এই বিষয়ে একটি সতর্কতা মূলক পোস্ট করা হয়। ওই টুইটেই প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয় মোদীর অ্যাকাউন্ট কিছুক্ষণের জন্য হ্যাক হয়েছে। পিএমওর তরফে স্পষ্টতই বলা হয় ওই সময়ের মধ্যে কোনও টুইট কারও কাছে পৌঁছে থাকলে তা এড়িয়ে যেতে।
পিএমও-র তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও জোরদার শোরগোল শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল পাড়ায়। হ্যাক হওয়া মোদীর অ্যাকাউন্টের ছবিও দেদার শেয়ার হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক হতে পারে এটা জেনেই অবাক হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে এর পিছনে বিটকয়েন মাফিয়াদের হাত ছিল বলে অনুমান করে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যে, ভারতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In) কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলির সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।