আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ASI কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী সমজিদ প্রাঙ্গনে একটি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করছে
বারাণসী আদালত এবার ফিরিয়ে দিল জ্ঞানবাপী সমসিজ কমিটির আবেদন। মসজিদের মধ্যে চলা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বন্ধ করতেই আবেদন করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালন কমিটি। কিন্তু বারণীস আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। জেলা সরকারের আইনজীবী রাজেশ মিশ্র বলেছেন, যে অজ্ঞমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদনে জেলা বিচারক একে বিশ্বেশ বলেছেন সমীক্ষাটি ইতিমধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমোদন রেয়েছে। তাই এই বিষয়ে বারাণসী আদালত থেকে কোনও আদেশ দেওয়া সম্ভব হবে না।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ASI কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী সমজিদ প্রাঙ্গনে একটি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করছে। ১৭ শতকের মসজিদটি হিন্দু মন্দিরের ওপর নির্মিত হয়েছিল কিনা তা নির্ধারণ করতেই এই সমীক্ষা। কিন্তু মসজিদ কমিটি এই সমীক্ষার বিরোধিতা করছে আসছে প্রথম থেকেই।
জেজেলা সরকারের আইনজীবী রাজেশ মিশ্র, মসজিদ পরিচালন কমিটি জেলা আদালতে দাবি করেছে যে ASI সমীক্ষা নির্ধারিত নিয়মের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। তাই দ্রুত তা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। মসজিদ কমিটির এই মামলায় যুক্ত ছিল। মামলাকারীদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ফিও নেওয়া হয়নি। জেলা জজ বলেছেন, বাদীর ওপর নতুন কোনও শর্ত আরোপ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার বিচারক বলেছেন, ASI সমীক্ষা কেনও বেসরকারি সংস্থার নয়। এটি সরকারি কাজ। তাই কাউকে সমীক্ষার খরচ দিতে বাধ্য করাও যাবে না।
জেলা সরকারের আইনজীবী রাজেশ মিশ্র বলেন, আদালত জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্স সিল করা ও ওয়াজুখানা সমীক্ষা করার জন্য হিন্দু পক্ষের আবেদনও শুনছে। এই বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ অক্টোবর দিনটি ধার্য করা হয়েছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বারাণসী জেলা আদালতের একটি আদাশ বহাল রাখার পরে জরিপটি "ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয়" এবং হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষেরই উপকার করবে বলে রায় দেওয়ার পরে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টও এই আদেশ বলবত রেখেছিল।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৪ অগাস্ট থেকে ASI জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার প্রত্নতাত্ত্বিক সার্ভে শুরু করেছিল। মসজিদ চত্ত্বরের অনেক স্পট ইতিমধ্যেই সার্ভের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে। সমীক্ষা দলের ৪০ জন সদস্য রয়েছে। যারা গত ২৭ দিন ধরেই এই সমীক্ষার কাজে নানা ভাবে অংশ নিয়েছে। ASI দলের সদস্যরা মসজিদের মধ্যে ওযাজু করার জায়গাটি বাদ দিয়ে সর্বত্রই সমীক্ষার কাজ করেছে। এই স্থানটি আগেই সুপ্রিম কোর্ট সিল করে দিয়েছিল। এই জায়গায় সার্ভের নির্দেশও দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।