হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যের এই তিন জায়গায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্ত

Published : Apr 05, 2023, 08:16 PM IST
Image of Kolkata Police and Central Force

সংক্ষিপ্ত

গত সপ্তাহে, রাম নবমী মিছিলের সময় এবং পরে, হাওড়া এবং হুগলি জেলার কিছু জায়গায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবগ্নানামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে যে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো।

হনুমান জয়ন্তী উদযাপনের সময় শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিনটি কোম্পানি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। বৃহস্পতিবার কলকাতা, চন্দননগর এবং ব্যারাকপুরে CRPF জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট হনুমান জয়ন্তী উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তা বিস্তারিতভাবে জানতে চায়। রাজ্য পুলিশকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনুরোধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে, রাম নবমী মিছিলের সময় এবং পরে, হাওড়া এবং হুগলি জেলার কিছু জায়গায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি.এস. শিবগ্নানামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে যে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীর সমাবেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন করার জন্য আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এরপরেই রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এরই সঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। আমি সবাইকে তা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করার জন্য অনুরোধ করব। শান্তি পালন করলে কোনো সমস্যা হবে না। বাংলা শান্তির দেশ,"। তিনি আরও বলেন "ধর্ম একটি ব্যক্তিগত পছন্দ, উৎসব সবার জন্য"।

রাজ্যের অনুরোধের ভিত্তিতে এই ধরনের মোতায়েনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাডভোকেট জেনারেল এস. এন. মুখোপাধ্যায় আদালতকে বলেছিলেন যে পুলিশ রাজ্যে হনুমান জয়ন্তী সমাবেশ করার জন্য প্রায় দুই হাজার আবেদন পেয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় আদালত এই আদেশ দেয়।

এদিকে, বাংলায় রাম নবমীর সময় হিংসাত্মক ঘটনার বিষয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিশদে প্রতিবেদনও তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সাথে কথা বলার কয়েকদিন পরে এবং রাজ্যের বিরাজমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে হাওড়ার সহিংসতা-কবলিত অঞ্চলগুলির পর্যালোচনা করার কয়েকদিন পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জানিয়ে রাখি যে ৩০ মার্চ হাওড়া এলাকায় রাম নবমী উত্সব চলাকালীন দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। পুলিশ জানায়, এ সময় এলাকায় অনেক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। হাওড়ায় সহিংসতার অভিযোগে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

২০০১ সংসদ ভবন হামলার ২৫ বছর, একই লাইনে দাঁড়িয়ে মোদী-রাহুলের শ্রদ্ধা নিহতদের
ই-সিগারেট কী? কতটা বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? E-Cigarette নিয়েই সংসদে বিতর্ক তৃণমূল-বিজেপির