চিকিৎসকরা বলছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন বেশ সুস্থ ছিলেন তিনি। রতন টাটা পর্যন্ত বলেছিলেন যে সাধাসিধে জীবনযাপন ও উচ্চ মানের চিন্তাভাবনা নিয়েই দিন কাটাতে চান তিনি।
রুটিন চেকআপের জন্য গিয়েছিলেন হাসপাতালে। নিজের মুখেই সেকথা জানিয়ে ছিলেন তিনি। কিংবদন্তী শিল্পপতি রতন টাটার মৃত্যু নিয়ে কি কোনও ধোঁয়াশা রয়েছে? তাঁর মৃত্যুর কারণ কিন্তু সেকথাই বলছে। টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটার আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে বেশ প্রশ্ন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রতন টাটার আকস্মিক মৃত্যুতে দেশ শোকাহত। রতন টাটা ৮৬ বছর বয়সে ৯ অক্টোবর রাতে মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন রতন টাটার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন বেশ সুস্থ ছিলেন তিনি। রতন টাটা পর্যন্ত বলেছিলেন যে সাধাসিধে জীবনযাপন ও উচ্চ মানের চিন্তাভাবনা নিয়েই দিন কাটাতে চান তিনি।
কিছু দিন আগে রতন টাটা তার স্বাস্থ্য নিয়ে চলা জল্পনাকে অস্বীকার করে বলেছিলেন যে তিনি তার বয়সের কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। এখন সবাই জানতে চায় যে, রতন টাটার মৃত্যু কি কোনও রোগের কারণে হয়েছে, নাকি বয়সজনিত সমস্যার কারণে? তার মৃত্যুতে সবার মনে একটাই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কিসের কারণে তাকে এভাবে হারাতে হলো?
তিন দিন আগে পর্যন্ত সুস্থ ছিলেন রতন টাটা
প্রতিবেদনের মতে, রতন টাটার স্বাস্থ্য তিন দিন আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল এবং তিনি তার দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিকভাবে করছিলেন। এমনকি তিনি অফিসে মিটিংয়ে অংশও নিয়েছিলেন। মাত্র দুই দিন আগে তাকে মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার অফিসিয়াল এক্স (টুইট) হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে জানানো হয় যে তাকে সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রতন টাটা কেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন? কিভাবে মৃত্যু হলো?
রতন টাটার স্বাস্থ্য এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও হাসপাতালে কোনও অফিসিয়াল কারণ জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে ৮৬ বছর বয়সী রতন টাটার কোনও গুরুতর রোগ ছিল না। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রতন টাটার মৃত্যুকে প্রাকৃতিক মৃত্যু হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে এবং তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বয়সজনিত সমস্যা এবং সামান্য সংক্রমণ বলা হচ্ছে। তাই আচমকা মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।