দেশের সুরক্ষার প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে শত্রুকে মেরে আসতে তৈরি ভারতীয় সেনা- কার্গিল বিজয় দিবসে গর্জে উঠলেন রাজনাথ

তিনি বলেন, "অপারেশন বিজয়ের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু পাকিস্তানকেই নয়, গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিল যে আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা বললে আমাদের সেনাবাহিনী কোনো মূল্যে পিছপা হবে না।"

কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশের বীর সন্তানদের স্মরণ করে কার্যত গর্জে উঠলেন। রাজনাথ সিং বুধবার বলেন যে ভারত তার সম্মান এবং মর্যাদা বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করতে প্রস্তুত। তিনি সাধারণ নাগরিকদের এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। রাজনাথ সিং দেশের বীর সেনাদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

রাজনাথ সিং ২৪ তম কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে কার্গিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে বক্তব্য রাখছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে কারণ বেসামরিকরা এগিয়ে এসেছে এবং যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। দেশের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা যে কোনো প্রান্তে যেতে পারি। এর জন্য যদি আমাদের এলওসি অতিক্রম করতে হয়, আমরা তা করতেও প্রস্তুত। যদি আমাদের উসকানি দেওয়া হয় এবং প্রয়োজন হয়, আমরা এলওসি অতিক্রম করব। জনগণকে সৈন্যদের সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

Latest Videos

রাজনাথ বলেন, 'যখনই যুদ্ধ পরিস্থিতি হয়, আমাদের জনগণ সবসময় আমাদের সৈন্যদের সমর্থন করেছে, কিন্তু এই সমর্থন পরোক্ষ। আমি জনগণের কাছে আবেদন করছি যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের প্রয়োজনে শারীরিক ও মানসিকভাবে সমর্থন করতে প্রস্তুত থাকতে।

তিনি বলেন, কার্গিল যুদ্ধ ভারতের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পাকিস্তান আমাদের পিঠে ছুরি মেরে ছিল। তিনি আরও বলেন, "অপারেশন বিজয়ের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু পাকিস্তানকেই নয়, গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিল যে আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা বললে আমাদের সেনাবাহিনী কোনো মূল্যে পিছপা হবে না।" মন্ত্রী বলেন, 'অনেকে কারগিল যুদ্ধে যুদ্ধ করা সৈন্যরা সদ্য বিবাহিত, কেউ বিয়ে করতে চলেছে বা কেউ তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। কিন্তু তাঁরা নিজের জীবনের পরোয়া না করে দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।

বীরদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি- রাজনাথ

রাজনাথ সিং বলেন, 'আমি ভারত মাতার সাহসী ছেলেদের স্যালুট করছি যারা দেশকে সবার উপরে রেখেছেন এবং তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যায় নি, তাদের অবদান আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।'' প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন যে এই অমিমাংসিত বীরদের অবদান সর্বদা মানুষের মনে মনে থাকবে। ১৯৯৯ সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাদাখের গুরুত্বপূর্ণ চূড়াগুলি দখলকারী পাকিস্তানি সেনাদের তাড়ানোর জন্য একটি ভয়ঙ্কর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। এই যুদ্ধে ভারতের বিজয়ের স্মরণে কার্গিল বিজয় দিবস পালন করা হয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমরা স্বাধীন করালাম আর বাংলাদেশ বাবা-মা ভাবছে পাকিস্তানকে', বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Locket Chatterjee
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
সৎ বাবা না পাষণ্ড! কাণ্ড দেখে আঁতকে উঠবেন আপনিও! | South 24 Parganas News Today
New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘West Bengal-এ জঙ্গিদের সরকারের মুখোশ Mamata Banerjee’ Suvendu Adhikari-র ঝাঁঝালো তোপ মমতাকে