দিল্লি-এনসিআরে ধূলিঝড়ের পিছনে পাকিস্তান থেকে বাতাস আসছে। পাকিস্তান থেকে বয়ে আসা বাতাসে ধুলো উঠেছে রাজস্থানে।
দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ধূলিঝড়ের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দিল্লি ও আশেপাশের এলাকায় কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দিল্লি-এনসিআরের দূষণের মাত্রাও বেড়েছে। ধূলিঝড়ের কারণে দিল্লির কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতাও কম রেকর্ড করা হচ্ছে। জানিয়ে রাখি, আইজিআই বিমানবন্দর এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে ১১০০ মিটার হয়েছে।
মে মাসে ধুলো ঝড় কেন?
আবহাওয়াবিদদের মতে, দিল্লি-এনসিআরে ধূলিঝড়ের পিছনে পাকিস্তান থেকে বাতাস আসছে। পাকিস্তান থেকে বয়ে আসা বাতাসে ধুলো উঠেছে রাজস্থানে। এই ধুলার প্রভাব দিল্লি-এনসিআরেও দেখা যাচ্ছে। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি, আগামী তিন দিন, ধূলিঝড়ের পাশাপাশি, সন্ধ্যা এবং রাতে উত্তর পশ্চিম ভারতের এলাকায় বৃষ্টির কার্যকলাপও দেখা যেতে পারে।
আমরা আপনাকে বলি, ভূমধ্যসাগরে ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স শুরু হয়। এরপর মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তারপর ভারতে আসে। এ কারণে পাকিস্তানে বয়ে যাওয়া বাতাসের প্রভাব রাজস্থানের এলাকায় দেখা যাচ্ছে। এর জেরে দিল্লি-এনসিআরে দেখা যাচ্ছে ধুলোর ঝড়।
রাজস্থানে ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানে ১৭ মে পর্যন্ত ধূলিঝড় দেখা যেতে পারে। জয়পুরের কথা বললে, আজ এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি রেকর্ড করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে ধূলিঝড়ের মধ্যে বজ্রসহ হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। আগামীকাল অর্থাৎ 17 মে জয়পুরে ধূলিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে জয়পুরে আগামীকাল ও পরশু বজ্রসহ হালকা বৃষ্টির কার্যকলাপ দেখা যাবে।
দিল্লিতেও বৃষ্টি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ নয়াদিল্লির দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে, আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ মে নয়াদিল্লিতে প্রবল বাতাস বইতে পারে। ১৮ মে, নয়াদিল্লিতে বজ্রসহ বৃষ্টির কার্যকলাপ দেখা যাবে। সাধারণত, বৃষ্টির সাথে তাপমাত্রা হ্রাস রেকর্ড করা হয়, তবে দিল্লিতে বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি রেকর্ড করা হবে।
বৃষ্টির পরও তাপমাত্রা কমছে না কেন?
এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি ও গরমের মধ্যেও তাপমাত্রা না কমার জন্য উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাস দায়ী। রাজস্থান থেকে আসা বাতাস তাপ নিয়ে আসছে। অন্যদিকে, আমরা যদি বৃষ্টির কথা বলি, খুব দুর্বল ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্সের কারণে মেঘ তৈরি হচ্ছে এবং হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এই কারণেই বৃষ্টির পরেও গরম থেকে রেহাই মিলবে না দিল্লিতে।