
সোমাবর থেকে শুরু হবে সংসদের শীতকলীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে এবার মোদী সরকার ১৫টি বিল পেশ করতে পারে। যারমধ্যে ৫টি নতুন আইন রয়েছে। শীতকলীন অধিবেশন চলাকালীন যৌথ সংসদীয় কমিটি তার প্রতিবেদন জমা দেবে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে দুই কক্ষে সমহয় হয়নি। আর সেই করণে বিলনিয়ে আলোচনার জন্য তা পাঠান হয়েছিল যৌথ কমিটিতে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪। ইতিমধ্যেই যৌথ সংসদীয় প্যানেলকে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বিল নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনেও সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে ঝড় উঠতে পরে। বিরোধী দল ও মুসলিম সংস্থাগুলি বিলের বেশ কয়েকটি সংশোধনী নিয়ে আপত্তি জনিয়েছে।
সূত্রের খবর শীতকালীন অধিবেশন এক দেশ এক নির্বাচন বিল পেশ করতে পারে বলেও জল্পনা দিল্লিতে। মোট ১৬টি বিল, যার মধ্যে ১১টি মুলতুবি রয়েছে। সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভা সচিবালয়ে জমা দেওয়া আইনগুলি অস্থায়ী তালিকার অংশ। অন্যান্য যে বিল পেশ করা হতে পারে তার মধ্যে একটি হল পঞ্জাব আদালত সংশোধনী বিল। বাকিগুলি হল- বণিক শিপিং বিল, সরকার কর্তৃক পরিকল্পিত একটি নতুন খসড়া আইন, সমুদ্র চুক্তির অধীনে ভারতের বাধ্যবাধকতার সম্মতি নিশ্চিত করতে চায় যেখানে নয়াদিল্লি একটি পক্ষ।
ভারতীয় বন্দর বিলের লক্ষ্য ভারতের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এবং সংবিধিবদ্ধ সম্মতির সাথে সঙ্গতি রেখে বন্দরগুলির সংরক্ষণ, বন্দরগুলিতে সুরক্ষা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। বিলটি ভারতের অ-প্রধান বন্দরগুলির কার্যকর প্রশাসন, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার জন্য রাজ্য মেরিটাইম বোর্ডগুলিকে ক্ষমতায়ন ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে; বন্দর সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিচারমূলক ব্যবস্থা প্রদান এবং বন্দর সেক্টরের কাঠামোগত বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য একটি জাতীয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।