অসংসয়ীয় শব্দের তালিকা আসলে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার চেষ্টা, মোদী সরকারকে ধুয়ে দিলেন মহুয়া মৈত্র

রীতিমত সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি এই বিষয়ে এবার সরাসরি আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিষয় নিয়ে তিনি একাধিক টুইট করেছেন । যেখানে মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ বিরোধীদের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। 

Saborni Mitra | Published : Jul 14, 2022 10:04 AM IST

বাদল অধিবেশের আগেই জুমলাজীবী, তানাশাহ, তানাশাহীর - মত বেশ কিছু শব্দকে অসংসদীয় তমকা নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সেই শব্দগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার রীতিমত সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি এই বিষয়ে এবার সরাসরি আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিষয় নিয়ে তিনি একাধিক টুইট করেছেন । যেখানে মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ বিরোধীদের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। 

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন তাঁর প্রথম অসংসদীয় শব্দের প্রতিস্থাপনের বিষয়ে টুইট- সেটি হল নিষিদ্ধ শব্দ- যৌন হয়রানি। তারপরই তিনি লিখেছেন প্রতিস্থাপন মিস্টার গগৈ। যার অর্থৎ তিনি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে তাঁর বিতর্কের কথা। 

তিনি আরও একটি টুইট করেছেন। যেখানে তিনি ২০১৩ সালে ইউপিএ আমলের স্পিকার মীরা কুমারের বাচন ভঙ্গি মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'বৈঠ যাইয়ে বৈঠ যাইয়ে  প্রেম সে বলিয়ে'। তারপরই তিনি বলেছেন লোকসভা ও রাজ্যসভার অংসদীয় শব্দের তালিকায় সঙ্ঘিকে যুক্ত করা হয়নি। আসলে কীভাবে বিজেপি সরকার ভারতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিরোধীরে যে শব্দ প্রয়োগ করে বা ব্যবহার করে সেগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহুয়ার কথায় বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করে। 

আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদেরর বাদল অধিবেশন। তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া ফরমান জারি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।  তাতে বলা হয়েছে নৈরাজ্যবাদী, শকুনি, শ্বৈরাচারী, তানাশাহ, তানাশাহী, জয়চাঁদ. বিনাশপুরুষ, খাালিস্তানি, খুন সে খেতি - এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। বিতর্কের সময় কোনও সাংসদ যদি এই শব্দ উচ্চারণ করেন তাহলে তা  রেকর্ড করা হবে না। তা সংসদের বই থেকে বাদ দেওয়া হবে। জুমলাজীবী, বাল বুদ্ধি, কোভিড স্প্রেডার, বিশ্বাসঘাতক, দূর্ণীতিগ্রস্ত, নাটক, ভণ্ডামি-সহ  বেশ কয়েকটি শব্দ আগামী দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় উচ্চারণ করা যাবে না। 

আরও পড়ুনঃ

কংক্রিটের স্তূপে আটকে থেকে ৬০ ঘণ্টার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই, ১৩ বছরের ওমায়রার মৃত্যু আজও প্রশ্ন চিহ্ন

বিবেকানন্দের বাড়ি থেকেই কলকাতা সফর শুরু হবে দ্রৌপদী মুর্মুর, রাজস্থানে রাষ্ট্রপতির সমালোচনা যশবন্ত সিনহার

'আমাকে সাসপেন্ড করুন', বাদল অধিবেশনের আগেই কেন তৃণমূলের ডেরেক চ্যালেঞ্জ করলেন স্পিকারকে

Read more Articles on
Share this article
click me!