Omicron Test: আপনি কি ওমিক্রন আক্রান্ত, করোনার নতুন রূপ নির্ণয় করতে লাগবে মাত্র ২০ মিনিট

 দক্ষিণ কোরিয়ার রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লি-জং-উকের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল আণবিক ডায়গনিস্টিক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 13, 2021 3:17 PM IST

গোটা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron)। ব্রিটেনে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এই অবস্থায় ওমিক্রনেক সংক্রমণ শনাক্ত করার জন্য কোরিয়ান গবেষক (Koerian Reasearch) এক নতুন  আণবিক ডায়গনিস্টক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। নতুন এই প্রযুক্তিতে মাত্র২০ মিনিটের ওমিক্রন শনাক্ত করতেপারে।

 দক্ষিণ কোরিয়ার রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লি-জং-উকের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল আণবিক ডায়গনিস্টিক প্রযুক্তি তৈরি করেছেন। এটি মাত্র ২০-৩০ মিনটের মধ্যে বলে দিতে পারবে আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন শনাক্ত করার জন্য নতুন কোনও প্রযুক্তি তৈরি হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে জাা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা। তবে এই পদ্ধতি তুলনায় সময় সাপেক্ষও। নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে । তা অনলাইনে প্রকাশ করা যাবে বলেও জানিয়েছে পোস্টটেক নামে একটি জার্নাল। 

ওমিত্রন একটি বৈকল্পিক যার মধ্যে স্পাইকে ২৬-৩২টি মিউটেশন রয়েছে। যা কোভিট -১৯ ভাইরাসের মাধ্যমে মানব কোষকে সংক্রমিত করতে ব্যবহার করে। গবেষকদে মতে আণবিক ডায়গিস্টিক প্রযুক্তি একক নিউক্লিওটাইড বেসে মিউটেশনগুলিকে আলাদা করতে পারে। তাই এটি স্টিলথ ওমিক্রন শনাক্ত করতে পারে। যা আরটি পিসিআর পরীক্ষা দ্বারা সম্ভব নয়। 

বর্তমানে কোরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিস কন্টোল অ্যান্ড প্রিভেনশন কোভিড-১৯ এর ধরন শনাক্ত করতে তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিং, ডিএনএ বিশ্লেষণ ও পিসিআর পরীক্ষা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ক্ষেত্রে পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্ত ওমিক্রমেপ ক্ষত্রে তা সম্ভব নয়।  নতুন উন্নত প্রযুক্তিটি একটি সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি নয় যা ডিএনএ বা আরএনএ সিকোয়েন্সিংগুলির মাধ্যমে শনাক্ত করতেই আণবিক ডায়গনিস্টিক প্রযুক্তি। এখনও পর্যন্ত যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড শনাক্ত করা হচ্ছে যা ভাইরাসের একটি  নির্দিষ্ট এলাকা স্ক্রীণ করে। কিন্তু আণবিক ডায়গনিস্টিক প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তখনই নিউক্লিক অ্যাসিড-বাইন্ডিং প্রতিক্রায়া সৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল যখন কোভিড ১৯ আরএনএ বিদ্যমান থাকে। যা দ্রুত শনাক্তকরণ করতেও সক্ষম। 

অধ্যাপক লি জানিয়েছেন, পিসিআর পরীক্ষায় ওমিক্রনের এন জিনের জন্য একটি শক্তিশালি সংকেত রয়েছে, তবে এস জিনের জন্য একটি দুর্বব সংকেত রয়েছে। স্টিলথ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এম ও এস উভয় জিনই ইতিবাচক নিশ্চিত করেছে। যা অন্যান্য রূপের থেকে আদালা করা কঠিন। আণবিক ডায়গনিস্টিক পদদ্ধতি সেটি সম্পন্ন করতে পেরেছে। 

প্রচলিত প্রযুক্তির বিপরীতে যা সাধারণত প্রতি ডিভাইসে ৯৬টি নমুনা পর্যন্ত পরীক্ষা করতে পারে। নতুন প্রযুত্তি ৩০ মিনিটে ১২৫টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় ২৫০টি নমুণা পরীক্ষা করতে পারে। আগামী বছর দ্বিতীয়ার্ধে এই কিটের বাণিজ্যিকীরণ সম্ভব হবে। তার আগে আরও ক্লিনিক্লার পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। 

COVID Data Fraud: মোদী সনিয়ারা টিকা নিয়েছিলেন বিহার থেকে, জাল তালিকা ঘিরে শোরগোল

করোনা মহামারির শেষ কোথায়, প্রশ্ন তুলল চিনে ডেল্টার নতুন বংশ AY-4-র বাড়তে থাকা সংক্রমণ

Netaji Case: 'নেতাজি জীবিত না মৃত', কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Share this article
click me!