আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ২০২০ সালে যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও বায়রাক্টর TB2 ড্রোনের মাধ্যমে জয় হাসিল করেছিল আজারবাইজান।
ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমশই রণহুংকার দিচ্ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বায়রাক্টর TB2 ড্রোন। তুরস্কের তৈরি এই এই ড্রোনের কারণে ঘুম উড়ছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। যদিও পাল্টা রীতিমত কঠোর পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। কিন্তু কী এই বায়রাক্টর TB2 ড্রোন?
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ২০২০ সালে যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও বায়রাক্টর TB2 ড্রোনের মাধ্যমে জয় হাসিল করেছিল আজারবাইজান। যুদ্ধের ময়দানে বিশাল রণসজ্জ নিয়েও আজারবাইজানের কাছে দাঁড়িয়ে দাঁড়়িয়ে হারতে হয়েছিল আর্মেনিয়াকে। কারণ ছিল শুধুমাত্র বায়রাক্টর TB2 ড্রোন। যদিও সেই সময় আজারবাইজানের হাতে ছিল ইজরায়েলের তৈরি কামিকাজে ড্রোনও। ছোট্ট বাহিনী নিয়ে দুই ধরনের ড্রোনেই জয় হাসিল করেছিল আজারবাইজান।
বায়রাক্টর TB2 ড্রোন কী?
রায়রাক্টর ক্থার অর্থ পতাকাবাহী। ২০২১স সালে ইউক্রেনের কিয়েভে স্বাধীনতা দিবসের একটি কুচকাওয়াজে বায়রেক্টর TB2 ড্রোন প্রদর্শিত হয়েছিল। সূত্রের খবর বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, গোয়েন্দা এই ড্রোন নজরদারি ও রিকনেসান্স নিশনের জন্য ব্যবহার করে। যদিও বাংলাদেশ দাবি করেছে এই ড্রোন মোতায়েনের উদ্দেশ্য প্রতিরক্ষা খাতে। কিন্তু একটি সংবেদনশীল এলাকায় এই জাতীয় ড্রোন মোতায়েন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছে ভারতীয় সেনা সদস্যরা।
আর্মেনিয়া আজারবাইজান যুদ্ধে এই ড্রোন ১৮৫টি ট্যাঙ্ক, ৪৫টি সাজোয়া যুদ্ধ যান, ৪৪টি পদাতিক ফইটিং যান, ১৪৭টি টাউড আর্টিলারি বন্দুক, ১৯টি স্ব-চালিত কামান, ৭২টি মাল্টি -ব্যারেল রকেট লঞ্চার ও ১২টি ব়্যাডার ধ্বংস করেছিল অনুমান করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে।
বায়রাক্টর TB2 ড্রোন তুরস্ক তৈরি হয়েছে। একটি US MQ-9 রিপারের ওজনের প্রায় এক-অষ্টমাংশ। এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। এই ড্রোনগুলি MAM (Turkish for Smart Micro Munition) লেজার-গাইডেড মিসাইল দিয়ে আধুনিক ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে।TB2 ড্রোন একটি ফ্লাইটে এই ধরনের চারটি এমএএম বহন করতে পারে। এটি UAV সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি পেলোড বহন করতে পারে। এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে। এটি টার্গেট ধ্বংস করতে পারে। শত্রুর এলাকায় প্রবেশ করতে পারে সহজেই। তবে এই ড্রোনগুলি যখন টার্গেটের কাছে পৌঁছায় তখন একটি বিকট শব্দ হয়। যা শত্রুপক্ষের মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।