শেখ হাসিনা পদত্যাগই করেননি! বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দাবি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু
শেখ হসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশেরের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন হাসিনার পদত্যাগ পত্র এখনও তাঁর কাছে নেই।
Saborni Mitra | Published : Oct 21, 2024 12:54 PM IST
অশান্ত বাংলাদেশ
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দাবি উঠেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের।
পদত্যাগ হাসিনার
৫ আগস্ট, আজ থেকে প্রায় তিন মাস আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এখন প্রশ্নের মুখে তাঁর পদত্যাগ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বক্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এমন কোনও নথি এখনও পর্যন্ত তাঁর হাতে আসেনি।
সেই সময় সেনা প্রধানের বার্তা
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলিয়ে যাওয়ার পরই তৎকালীন সেনা প্রধান ওয়াকার উজ -জমান জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পরই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
হাসিনা পুত্রের দাবি
সেই সময়েই হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন তাঁর মা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েননি। পদত্যাগ করেননি তাঁর মা।
জয়ের দাবিতেই শিলমহর?
প্রায় সাড়ে তিন মাস পরেই হাসিনা পুত্রের বয়ানেই শিলমহর দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
রাষ্ট্রপতির দাবি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন মানবজমিন নামে সেদেশের একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনা প্রধানকে প্রশ্ন করেও কোনও সদুত্তর পাননি।
শাহবুদ্দিনের দাবি
শাহবুদ্দিন আরও বলেছেন, সেন প্রধান ওয়াকারকে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি জানিয়েছিলেন তিনিও শুনেছেন পদত্যাগের কথা। রাষ্ট্রপতি বলেন তাঁর হাতে কোনও নথি এখনও পর্যন্ত নেই।
কপি নেই
পরবর্তী কালে মন্ত্রিপরিষদের এক সচিব রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন হাসিনার পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহের জন্য। তখনও রাষ্ট্রপতি ওই সচিবকে কোনও নথি দিতে পারেননি। রাষ্ট্রপতি সে সময় জানিয়েছিলেন, তিনিও খুঁজছেন।
বাংলাদেশের নিয়ম
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে হয়। যে মুহূর্তে ইস্তফা দেবেন, তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর ফাঁকা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের মতামত
এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছিলেন, এটাই সত্য। যাতে এই বিষয়ে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।