এই ভবনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির নাম ছিল ভারতীয় মনীষীদের নামে, যা এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধুই মুজিব কিংবা হাসিনা নয়। ভারতীয় বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মানবতাবাদী লালনের নামও মুছে ফেলতে উদ্যোগী তাঁরা।
বাংলাদেশে ইতিহাস পরিবর্তনের এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে দেশটির অতীত থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অবদান মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই পরিবর্তনের হাওয়া শুধু মুজিব বা হাসিনার নাম মুছে ফেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ভারতীয় মনীষী থেকে শুরু করে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের অবদানকেও অস্বীকার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব পড়েছিল ইউনূসের কাঁধে । সেই দায়িত্বভার নিয়েই তদারকি সরকার গঠন করা হয়। আর এরপর থেকেই অশান্তি কমার বদলে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ-মৌলবাদের মতো ঘটনা। অন্যদিকে চুপিসারেই দেশের অতীত মুছতে ব্যস্ত দেশের প্রশাসন।
সম্প্রতি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমান একটি নোটিস জারি করে ১৬টি প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করার কথা জানান। এই ভবনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির নাম ছিল ভারতীয় মনীষীদের নামে, যা এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধুই মুজিব কিংবা হাসিনা নয়। ভারতীয় বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মানবতাবাদী লালনের নামও মুছে ফেলতে উদ্যোগী তাঁরা। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত একটি ভবনও পরিবর্তন করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অবদান মুছে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে পূর্বের সময়কাল স্বৈরাচারী ছিল, তাই সেই সময়ের ইতিহাস মুছে দেওয়া হচ্ছে। তবে, এই যুক্তির পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন বহু অভিজ্ঞমহল। তাদের মতে, তা না হলে দেশটির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের পূর্বপুরুষদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে না । পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে।বিষয়টি নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যেও অনেকে সমালোচনা করেছেন । অনেকেরই মত, এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য ভালো দিক নয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।