ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ফুটবল লিগ চালু করতে মরিয়া বোলসোনারো

  • লাতিন আমেরিকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ
  • ব্রাজিল এখন কোভিড ১৯ রোগ  বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দু
  • ব্রাজিল ছাড়াও চিলি ও মেক্সিকোর পরিস্থিতি উদ্বেগের
  • প্রথম থেকেই লকডাউনের সমালোচনা করে আসছেন বোলসোনারো

Asianet News Bangla | Published : Jun 1, 2020 5:29 AM IST / Updated: Jun 01 2020, 11:01 AM IST

করোনাভাইরাসের নতুন এপি সেন্টার এবার লাতিন আমেরিকা। আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'। সেই ভবিষ্যতবাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল। রবিবারই লাতিন আমেরিকার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এরমধ্যে কেবল ব্রাজিলেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের বেশি। ব্রাজিলে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের শিকার ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২৯ লক্ষ ৩৪১ জনের।

চিনে প্রথম মহামারী দেখা দেওয়ার পর ইউরোপ ও আমেরিকা হয়ে এখন ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো, বিশেষ করে ব্রাজিল কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দু। ইউরোপের দেশগুলিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ব্রাজিলে তা ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্বে মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালির পরেই অবস্থান করছে দেশটি। আক্রান্তের দিক দিয়েও রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালিকে পেছনে ফেলেছে ব্রাজিল।

এদিকে প্রথম থেকেই অর্থনৈতিক মন্দার জন্য লকডাউনের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। এই অবস্থায় সাউ পাওলোসহ বিভিন্ন স্থানে লকডাউন তুলে নেয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।  এই পরিস্থিতিতে রবিবার রিও ডি জেনিরোসহ বিভিন্ন স্থানে বোলসোনারোর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।

 

 

এদিকে ব্রাজিলে ফের ফুটবল চালু করে দিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট  বোলসোনারো। প্রেসিডেন্টের দাবি, করোনা ফুটবলারদের কিছুই করতে পারবে না, ‘ফুটবলাররা যেহেতু তরুণ অ্যাথলেট, তাই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও তাঁদের মৃত্যুর শঙ্কা খুবই কম।’

ডালপন্থী বোলাসোনারো গত মার্চে বলেছিলেন, একসময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাঁর বড়জোর একটু ঠান্ডা লাগতে পারে।

তবে ফুটবল ফেরাতে চাওয়ার পেছনে অর্থনীতিকেই মূল কারণ দেখাচ্ছেন বোলসোনারো। বলছেন বেকারত্বের হার কমাতেই ফেরাতে হবে ফুটবল , ‘খেলোয়াড়দের তো কোনোভাবে টিকে থাকতে হবে। তাঁদের পরিবারের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার।’বোলসোনারো ভাবছেন, আঞ্চলিক ছোট লিগগুলো অন্তত চালু করা দরকার। তবে বোলসোনারো চাইলেই দেশের সর্বত্র ফুটবল চালু করতে পারবেন না। বিভিন্ন প্রদেশ ও মিউনিসিপালিটিগুলোরই শুধু এখতিয়ার আছে স্থানীয় ফুটবল লিগ আবার চালু করার অনুমতি দেওয়ার। ফুটবলে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ফুটবল লিগ বন্ধ হয়েছে মার্চ মাসে। 

Share this article
click me!