বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আধিপত্য বর্তমান। পৃথিবীর ১০০ টিরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষের। এর মধ্যেই মারণ করোনায় এবার আক্রান্ত হলেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাদিন ডোরিস। নিজেই সংক্রমণনের কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি। এদিকে ব্রিটেনে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৩৭০ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। ব্রিটেনে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
আরও পড়ুন: শহরে ফের করোনা আতঙ্ক, সৌদি থেকে ফিরে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হলেন ৫জন
এদিকে চিনের পর করোনায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালির। ইউরোপের এই দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। গত সোমবার ইতালিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৪৬৩ জনের। মঙ্গলবার একলাফে সেই সংখ্যা পৌঁছে যায় ৬৩১-এ। পরিস্থিতি সামলাতে দেশের ৬ কোটি মানুষকে গৃহবন্দি করে রেখেছে ইতালি সরকার। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রযোজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতিও দিনে দিনে সঙ্গীন হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে হাজারের গণ্ডী। মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৮।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে মরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য বাদুড়, করোনা আতঙ্কের মাঝেই নতুন বিপদের গন্ধ কেরলে
তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে চিনে। গত মঙ্গলবার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। তবে আস্তে আস্তে কমছে মৃত্যুহার। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩,১৫৮ জনের। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার উহানের পরিস্থিতি দেখতে হাজির হন চিনা প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিং। গতবছর ডিসেম্বরে চিনের এই শহর থেকেই ছড়াতে শুরু করে করোনা ভাইরাস । তারপর গত ২৩ জানুয়ারি থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল হুবেই প্রদেশের রাজধানীর ৫ কোটি বাসিন্দাকে।