বিহার থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্বপ্নের সফর, জানুন লেবার পার্টির সাংসদ কণিষ্ক নারায়ণকে

Published : Jul 06, 2024, 11:27 PM IST
Kanishka Narayan

সংক্ষিপ্ত

কণিষ্ক নারায়ণ- উত্তর বিহারের বাসিন্দা। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটারের দূরে মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। 

ব্রিটেনে সংসদীয় নির্বাচনে রীতিমত ধরাসায়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কিন্তু ব্রিটিস প্রধানমন্ত্রীর গদি হারালেও সুনাক কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রেখে গেছেন তাঁর ভারতীয় উত্তসুরীকে। যদিও দুজনের রাজনৈতিক আদর্শ, দল, মতামত সবই আলাদা। কিন্তু মিল একটাই , কণিষ্ক নারায়ণ - তিনিও সুকানের মতই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

কণিষ্ক নারায়ণ- উত্তর বিহারের বাসিন্দা। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটারের দূরে মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি লেবার পার্টির সদস্য। তাঁর দল লেবার পার্টি প্রায় দে়ড় দশক পরে ব্রিটেনের ক্ষমতায় ফিরল। ৩৩ বছরের কণিষ্ক লেবার পার্টির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধি। ব্রিটেনের আমলা ছিলেন। সিভিল সার্ভিসের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি।

কণিষ্ক নারায়নকে রীতিমত উচ্ছ্বসিত বিহার। কণিষ্কের এক আত্মীয় , জয়ন্ত কুমার জানিয়েছেন, ৩৩ বছরের কণিষ্ক নারায়ণের বাবা সন্তোষ কুমার তাঁর ভাই হয়। কণিষ্কের বাবার ব্রিটেন সরকারের কর্মী। কিন্তু পরবর্তীকালে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে চলে যাসেম। গ্ল্যামারগান উপত্যকার প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। সন্তোষ কুমার আরও জানিয়েছেন, তাঁদের গোটা পরিবারের সঙ্গে আইনের যোগ রয়েছে। তাঁর বাবা প্রয়াত কৃষ্ণ কুমার একটি আইন কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, কণিষ্কের ছোটবেলা কেটেছে বিহারে।

জয়ন্তর কুমারের কথায় কণিষ্ক মুজাফ্ফরপুরের একটি স্থানীয় স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। তারপর বাবা ও মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে চলে যান। ১২ বছর বয়সে কণিষ্ক কার্ডিফে চলে চলে যায়। তাঁর বাবা সন্তোষ ও মা চেতনা সিনহা দুজনেই ব্রিটেনের সলিসিটক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সন্তোষ কুমার জানিয়েছেন, 'আমাদের দেশ এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী অভিবাসীদের প্রতি লেবার পার্টির নরম অবস্থানের কারণে আমরা যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মধ্যে আরও ভাল সম্পর্কের জন্য উন্মুখ। আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের জন্য আমরা খুবই গর্বিত।' তিনি জানিয়েছেন ভাইপোকে তিনি লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে দেখে যথেষ্টই উত্তেজিত। সন্তোষ আরও বলেন, 'যুক্তরাজ্য সবসময়ই একটি দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমি আমার ছাত্র জীবনের চার বছর ওয়েলসে কাটিয়েছি। আমার মেয়ে এবং জামাই সেখানে থাকেন। এটি একটি বর্ধিত পরিবার।'

 

PREV
click me!

Recommended Stories

দিল্লি বিস্ফোরণে প্রশ্নের মুখে পর্যটকদের নিরাপত্তা! ব্রিটিশ নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
লন্ডনগামী ট্রেনে হঠাৎ ছুরি নিয়ে হামলা আততায়ীর! ১০ জনকে ছুরিকাঘাত; গ্রেফতার ২