করোনা রুখতে সেবন করতে হবে গাঁজা, মারণ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে নতুন টোটকা গবেষকদের

 

  • করোনাভাইরাস রুখতে পারে গাঁজা
  • গাঁজার নির্যাস সহায়তা করতে পারে করোনা প্রতিরোধে
  • চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়
  • কানাডা ও ইজরায়েলে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে

Asianet News Bangla | Published : May 26, 2020 2:53 AM IST / Updated: May 26 2020, 08:31 AM IST

করোনা আতঙ্কে ভুগছে সারা বিশ্ব। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গোটা দুনিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ।  এই মারণ ভাইরাসে প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে  হাজার হাজার মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। মারা যাচ্ছেন শত শত জন। করোনার চিকিৎসায় এখনো কোনোও স্বীকৃত ওষুধ বা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। জোড়কদমে চলছে গবেষণা। পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। আর এর মাঝেই প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা রোখার ওষুধ তাঁরা পেয়েছেন বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কানাডার একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, করোনার চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারে গাঁজার নির্যাস।

বিজ্ঞানীদলের দাবি, গাঁজার এক ধরনের স্ট্রেইনের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার দ্বারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এমনকী কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যও কাজে আসতে পারে গাঁজার ওই শক্তিশালী স্ট্রেইন।
কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, এপ্রিল মাসে করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কমপক্ষে ১৩ টি গাঁজা গাছে সিবিডি অতিরিক্ত পরিমাণে ছিল যা এসিই২ পথ প্রভাবিত করে বাগকে শরীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

ওই গবেষক দলের অন্যতম প্রধান ইগর কোভালচুক জানিয়েছেন, “প্রথমে বিষয়টি নজরে আসার পরই অবাক হয়ে যাই আমরা। পরে সত্যিই খুব খুশি হই।”

জানা যাচ্ছে, ক্যালগেরির লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গাঁজার চারশটিরও বেশি স্ট্রেন নিয়ে গবেষণা করেছেন। এরমধ্যে তাঁরা এক ডজনের বেশি গাঁজার স্ট্রেন নিয়ে করোনার চিকিৎসার করার জন্য সম্ভাব্য প্রস্তাব দিতে পারেন। তাঁরা বলছেন, ওই সব স্ট্রেনগুলো কোনো হোস্টকে সংক্রমিত করতে বাধা দেয়।

গবেষকদের মতে, কার্যকর স্ট্রেনগুলো কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাস রিসেপ্টরগুলোকে কমাতে সক্ষম। যা কোনো ব্যক্তিকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। ডা.কোভালচুক  জানিয়েছেন, গাঁজা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বেশিরভাগ রিসেপ্টারের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। ৭৩ শতাংশ কমিয়েছে। তাই মানব শরীরে করোনার প্রবেশের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তিনি বলেন, যদি রিসেপ্টারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া যায়,  তাহলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।

যদিও ডা. কোভালচুক জানিয়েছেন, সিবিডি (গাঁজা থেকে তৈরি এক বিশেষ নির্যাস), টিএইচসি (টেট্রাহাইড্রোকান্নাবিল) বা এর উপাদানগুলোর সংমিশ্রণের ফলে রিসেপ্টর কমে যাচ্ছে কি-না তা সুনির্দিষ্টভাবে বোঝাতে আরো অনেক গবেষণা করা দরকার।

প্রথমিক এই গবেষণাটির এখনো পিয়ার রিভিউ হয়নি। গবেষণায় ফুসফুস, অন্ত্র ও মুখের মধ্যে থাকা করোনার হোস্ট সন্ধান থেকে ভাইরাসকে কিভাবে বিরত রাখা যায় তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে গবেষকরা ব্যবহার করেছেন গাঁজার নির্যাস। এটি নিয়ে আরো গবেষণা করতে হবে জানাচ্ছেন গবেষক বিজ্ঞানীরাই। ইগর কোভালচুক বলেন, মেডিক্লিনিক্যাল মাউথ ওয়াশগুলো দিয়ে মুখ ধোয়া, গারগলস, জেল ক্যাপস বা ইনহাল্যান্ট করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যাবে।

কানাডার পাশাপাশি ইজরায়েলেও গাঁজার নির্যাস নিয়ে গবেষণা চলছে। দেশটির একদল গবেষকও কভিড -১৯- এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলোকে মেরামত করতে গাঁজার নির্যাসের সাহায্যে নিচ্ছেন। বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়েছে।

Share this article
click me!