চিন থেকে ভারত পেল অভাবনীয় সমর্থন - বছরের শেষে কি নয়াদিল্লি আসবেন জিনপিং, বাড়ছে জল্পনা

ভারত সমর্থন পেল বেজিং থেকে

গত দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সীমান্তে চলেছে অচলাবস্থা

এবার সুর নরমের পালা

দিল্লিতে আসবেন কি জিনপিং

amartya lahiri | Published : Feb 22, 2021 5:42 PM IST

অভাবনীয়ভাবে ভারতের পক্ষে সমর্থন এল বেজিং থেকে। গত দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেনা সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে অচলাবস্থার পর, বেগতিক দেখে এবার ধীরে ধীরে সুর নরম করছে চিন, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। সোমবার এই বছরের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ভারতে আয়োজনের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করে চিন বলেছে, উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ সদস্যের এই গোষ্টীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে বেজিং, নয়াদিল্লির সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা - এই পাঁচ দেশকে নিয়ে এই গোষ্ঠী গঠিত। ২০২১ সালের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নয়াদিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে ব্রিকস সচিবালয়ে 'ব্রিকস ২০২১' নামে একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছেন। এদিন এই বিষয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে নয়াদিল্লিকে পূর্ণ সমর্থন করছে বেজিং।

ব্রিকস-কে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক, স্থিতিশীল এবং গঠনমূলক শক্তি বলে দাবি করে তিনি বলেছেন, চিন এই গোষ্ঠীর সংহতি ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সদস্য দেশগুলির মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বকে কোভিড-১৯ মুক্ত করতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ফের চালু করতে এবং বৈশ্বিক প্রশাসনের উন্নতিতে এই গোষ্ঠী বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। নয়াদিল্লির প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানালেও এই সম্মেলনে যোগ দিতে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং নয়াদিল্লি আসবেন কিনা, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি চিনা বিদেশ মন্ত্রক। এর আগে এই পাঁচ দেশের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সবকটি বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনেই অংশ নিয়েছেন শি। গত বছর এই সম্মেলন হয়েছিল রাশিয়ায়।

প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকা তেকে এখন ভারত ও চিনের সেনারা পিছিয়ে আসছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মলডো-চুষুল সীমান্তে উভয়পক্ষের সামরিক কমান্ডাররা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দশম দফায় বৈঠক করেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয়পক্ষই প্যাংগং হ্রদ অঞ্চল থেকে সুষ্ঠুভাবে সেনা প্রত্যাহার সমাপ্তির প্রশংসা করেছে। এই পদক্ষেপ বাকি বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজটি তরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরই ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে ভারতকে সমর্থন করে এই বিবৃতি দিল চিন।

 

Share this article
click me!