১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই সমস্যা মেটাতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত ও চিন। সেখানে বৈঠক হলেও সমাধান সূত্র অধরাই থাকছে। এই অবস্থায় ভারতকে আরও চাপে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে চিন।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আগে থেকেই সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। জানা যাচ্ছে এবার পশ্চিম লাদাখ লাগোয়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তানে ইতিমধ্যে পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা বাড়ান হয়েছে। এই এলাকায় অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এয়ার স্ট্রিপগুলিতে নিয়মিত ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে চিনা বিমান।
আরও পড়ুন: দলাই লামাকে দেওয়া হোক 'ভারতরত্ন', চিনকে মোক্ষম জবাব দিতে এবার দাবি তুলল সঙ্ঘ পরিবার
জানা যাচ্ছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এয়ার স্ট্রিপগুলিতে চিনের বায়ুসেনার মুভমেন্ট দেখতে পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা ৷ তারা সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ তাদের দেওয়া খবর অনুযায়ী, ৪০ -র বেশি চিনা ফাইটার জেট জে ১০ স্কার্দুতে দেখা গিয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চিনা বায়ুসেনা ভারতে হামলার জন্য এই এয়ারবেস ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ৷
গোয়েন্দারা তথ্য দিয়েছে, চিনা সেনা আধিকারিকরা সম্প্রতি পাক সেনা এবং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানে যে অতিরিক্ত বিশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ, তা-ও আসলে চিনের নির্দেশে। বালাকোট কাণ্ডের পরেও এত সেনা পাক সীমান্তে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত, আমেরিকাতেও উঠল একই দাবি
সাঁড়াশি আক্রমণে ভারতে কোণঠাসা করতে চাইছে বেজিং প্রশাসন। এক্ষেত্রে ভারতে সন্ত্রাসমূলক কর্যকলাপ বৃদ্ধি করতেও উদ্যত হয়েছে চিনা প্রশাসন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আল বাদর’-এর নেতাদের সঙ্গে চিনা কর্তারা কথাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এয়ার স্ট্রিপগুলিতে নিয়মিত ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে চিনা বিমান। চিনা অফিসারেরা সম্প্রতি পাক সেনা এবং আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র কাছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালটিস্তানে যে অতিরিক্ত বিশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ইসলামাবাদ, তা-ও আসলে চিনের নির্দেশে। বালাকোট কাণ্ডের পরেও এত সেনা পাক সীমান্তে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আল বাদর’-এর নেতাদের সঙ্গে চিনা কর্তারা কথা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই— সীমান্তে চিন-পাকিস্তান যৌথ উদ্যোগে ভারতকে চাপে রাখা।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারতকে মাথা নত করানোর জন্য যে বৃহৎ কৌশল রয়েছে চিনের, পাকিস্তান তার একটি অংশ। গোটা অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য মেনে নেওয়া, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে নিজেদের সুবিধাজনক শর্ত ভারতকে মানতে বাধ্য করা, চিন-বিরোধী মার্কিন অক্ষ থেকে ভারতকে দূরে রাখা— এই সবই রয়েছে শি জিনপিংয়ের পরিকল্পনায়।
পাকিস্তান ও চিনের এই জোড়া আক্রমণের মোকাবিলা কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের মধ্যে। এই অবস্থায় শুক্রবার লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে থাকবেন সেনা প্রধান এমএম নারাভানেও৷ লাদাখের বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থিত ফরোয়ার্ড পোস্টগুলি পরিদর্শন করবেন তাঁরা৷