নেপালেও চলছে চিনা আগ্রাসন, ৩৩ হেক্টর জমি হারিয়েও চুপ ওলির নেতৃত্বে থাকা কমিউনিস্ট সরকার

Published : Jun 24, 2020, 02:36 PM ISTUpdated : Jun 24, 2020, 02:40 PM IST
নেপালেও চলছে চিনা আগ্রাসন, ৩৩ হেক্টর জমি হারিয়েও চুপ ওলির নেতৃত্বে থাকা কমিউনিস্ট সরকার

সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি নেপালের কৃষি মন্ত্রক একটি রিপোর্টি দিয়েছে সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ৩৩ হেক্টর জমি দখল করেছে চিন দেশের ১১টি স্থানে এই জমি দখল করেছে চিনা সেনা সেখানে আউটপোস্চ তৈরির তোড়জোড় করছে লাল ফৌজ

ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র নেপাল। কিন্তু সেই প্রতিবেশী দেশই ক্রমেই সংঘাতের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কাঠমান্ডুতে ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট সরকার ক্রমেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে। এমনকি ভারতের জায়গা দখল করে বিতর্কিত নতুন মানচিত্রও সংসদে পাশ করিয়েছে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার। আর এর মাঝেই সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর খবর। জানা যাচ্ছে নেপালের প্রায় ১১ টি জায়গায় মোট ৩৩ হেক্টর জমি দখল করেছে চিন। অর্থাৎ এবার নেপালকেও ধীরে ধীরে গ্রাস করার পরিকল্পনা করছে চিন। যদিও চিনের এই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এখনও চুপ প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।

আরও পড়ুন: পিএলএর শীর্ষস্থানীয় জেনারেলের নির্দেশেই হামলা, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টের তথ্যে ব্যাকফুটে চিন

নেপালের কৃষি মন্ত্রকের করফে সম্প্রতি ১১টি স্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই জায়গাগুলিকে নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি নিজেদের  দখলে নিয়েছে চিন। এমনকি সেখানে আউটপোস্টও বানানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে লাল ফৌজ। কৃষি মন্ত্রকের সমীক্ষা দফতরেরে রিপোর্ট অনুযায়ী সম্ভাবনা আছে ওই অঞ্চলে সশস্ত্র পুলিশের বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট তৈরি করবে চিন।  আর স্বাভাবিক সীমানা হিসাবে বয়ে চলা নদীর গতিপথও সেই কারণে বদলে দিয়েছে চিন।

৩৩ হেক্টরের  মধ্যে ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়েছে হুমলা জেলায়, যেখানে চিনা নির্মাণের ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গিয়েছে। এছাড়া রাসুয়া জেলায় একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে চিন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে। সিন্ধুপালচক জেলার ১১ হেক্টর জমি খারানে খোলা ও ভোতেকোশি নদীর স্বাভাবিক সীমানা মেনে তিব্বতের মধ্যে পড়ছে দাবি করে দখল করেছে চিন।

আরও পড়ুন: মধ্যস্থতা ছাড়াই দ্বন্দ্ব মিটবে বলছে 'বন্ধু' রাশিয়া, মস্কোয় চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নয় রাজনাথের

এইসব রিপোর্ট সামনে এনে নেপালের কৃষিমন্ত্রক সরকারকে সতর্ক করেছে। চিনের আগ্রাসনের ফলে নেপালের আরও জমি চিনের মধ্যে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  কৃষি মন্ত্রকের তরফে রিপোর্টে বলা হয়েছে, নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েও সীমান্তে নেপালের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।

নেপালের সঙ্গে চিনের সীমান্ত আছে পূর্ব দিকে। সেখানে ৪৩টি পাহাড় পর্বত প্রাকৃতিক সীমান্ত হিসাবে কাজ করে। তা ছাড়াও আছে ছটি চেক পয়েন্ট বাণিজ্যের স্বার্থে। সেখানেই ১১টি নদীর পথ এখনও পর্যন্ত সরে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই নেপালের চারটি জেলা জুড়ে থাকা ৩৩ হেক্টর জমি চলে গিয়েছে চিনের কাছে। 

গত বছর প্রথম এই খবর প্রকাশ্যে আনে নেপাল সরকার। সেই নিয়ে নেপালের পথে বিক্ষোভও হয়। কিন্তু তারপর কৌশলগত ভাবে ভারত বিরোধী ইস্যুগুলিকে ইন্ধন দিতে থাকেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এর কারণ হচ্ছে চিনের সরকারের হস্তক্ষেপে নিজের গদি  বাঁচিয়েছিলেন কেপি শর্মা ওলি। 


 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ২০ জন