সবুজ সংকেত হাতে আসেনি, বছর ঘোরার আগেই করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘরে টিকাকরণ কর্মসূচি

  • করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘরে টিকারণ কর্মসূচি 
  • উহানে দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা 
  • এখনও সরকারি অনুমোদন পায়নি কোনও টিকা 
  • চিনের ১১টি ভ্যাক্সিন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা স্তরে রয়েছে 

Asianet News Bangla | Published : Dec 29, 2020 11:59 AM IST / Updated: Dec 29 2020, 05:34 PM IST

দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে হতে চলল। চিনের উহান শহর থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা মহামারির। যা স্তব্ধ করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। এবার সেই উহান শহরেই জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করছে। যদিও চিনের এক প্রবীণ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত চিনে সরকারিভাবে কোনও ভ্যাক্সিনকেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারপরেই উহানে নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। 

উহানের  রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক জেনিয়ু  জানিয়েছেন গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে  ১৫টি জেলায় ৪৮টি মনোনীত ক্লিনিকে করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া যাচ্ছে। ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে ই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। চিনের সরকার সংবাদ মাধ্যম সিংহুয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টিকা গ্রহণকারীদের চার সপ্তাহের মধ্যে দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। চিনের সরকারি  তথ্য অনুযায়ী গত বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকেই হুবাই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এই শহরের ১১ মিলিয়ন মানুষ বাস করেন। গত, ২৩ জানুয়ারি থেকে এইএলাকায় কঠোর লকডাউন চালু করেছিল চিন প্রশাসন। এপ্রিল মাসে এই প্রদেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তারপরেও সতর্ক থাকে প্রশাসন।

চিনে এখনও পর্যন্ত মাঝে মাঝে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়।দেশটি এখনও পর্যন্ত কোনও টিকাই অনুমোদন করেনি। তবে দেশে ও বিদেশে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। চিনের ন্যাশানাল মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ড্রাগ রেডিস্ট্রেশন ব্যুরোর উপ পরিচালক ইয়াং শেং জানিয়েছেন মোট ১১টি চিনা ভ্যাক্সিন প্রার্থী দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য রয়েছে। চিন একটি আন্তর্জাতিক ভ্যাক্সিন জোটেও যোগ দিয়েছে। 

কাশ্মীরে জন্মগ্রহণকারী আয়েশা শাহ, বাইডেনের ডিজিটাল টিমের প্রধান হয়েছেন ...

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন কতটা কার্যকরী ভ্যাক্সিন, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ...

তারপর ধীরে ধীরে ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। মারাত্ম ছোঁয়াচে এই মহামারির কারণে বিশ্বের সবকটি দেশই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বে  মোট  ৮১,৬৭৩, ০৮৬ আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যু  হয়েছে ১,৭৮১, ৫৩৯ জনের।  (তথ্য সূত্র ওয়ার্ল্ডোমিটারস) 

Share this article
click me!