দারুণ কাজ করছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। তেমনই দাবি করল রাশিয়া। রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক স্পুটিনিক ভি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের পর জানান হয়েছে এই করোনার জীবাণু বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ভারতে স্পুটনিক ভি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। পাশাপাশি বেলারুশ, ভেনেজুয়ালাসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্য়বস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার সময় কোনও ধরণের খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে হয়নি স্বেচ্ছাসেবীদের।
আরডিআইএফ এর প্রধান ক্যারিল দিমিত্রিভ বলেছেন, তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে প্রতিষেধকটি খুবই কার্যকর। এই প্রতিষেধক যাঁরা আবিষ্কার করেছেন তাঁরা আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের নাতিনাতনিদের কাছে গর্বের সঙ্গে গল্প করে বলতে পারবেন। অন্তবর্তীকালীন ট্রায়ালের ফলাফলটি প্রথম দফায় দেওয়া ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের পর্যবেক্ষণের পর ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিষেধকটির দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে বিশ্বের বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরডিআইএফ জানিয়েছে রাশিয়ায় এই প্রতিষেধকের পরীক্ষা আরও ৬ মাস ধরে চালান হবে। তারপর সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনার পর আন্তর্জাতিক কোনও মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হবে। তবে এখনই সংস্থাটি জানিয়েছে স্পুটনিক ভি টিকা যে সমস্ত মানুষকে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্ধারিত মাণদণ্ডের তুলনায় ৫০ শতাংশ ওপরে বলেও দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়ার স্পুটনিক ভির প্রথম টিকা দেওয়ার ২১ দিন প্রাপ্ত প্রথম অন্তবর্তী বিশ্লেষণের পর এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া তার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গত অগাস্ট মাসেই অনুমোদন দিয়েছিল। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল কিছুটা বিতর্ক। যদিও সেপ্টেম্বর মাস থেকেই প্রতিষেধকটির বড় করে হিউম্যান ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে স্পিটনিক ভি কাজ করছে এই খরব আসার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত বিশ্ব। কারণ এখনও পর্যন্ত মারাত্ম ছোঁয়াছে এই জীবাণুটি ১.২ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ছে। বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বের অর্থনীতি।