ভারতে প্রস্তুত করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন খুব তাড়়াতাড়ি বিশ্বায়নের অংশ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ফিলিপাইনে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। কোভ্যাক্সিনের জন্য এটি প্রথম আন্তর্জাতিকস্তরে আবেদন বলেও দাবি করা হচ্ছে সংস্থার পক্ষ থেকে। স্থানীয় নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা অনুমোদন পাওয়ার পর ভারত কিছু ডোজের অনুমোদন দেবে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক দিক থেকে রফতানির দরজা উন্মুক্ত করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এজাতীয় পদক্ষণ গ্রহণ করছে বিদেশের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ও দেশগুলি।
ফিলিপাইনে ভারতের রাষ্ট্রদূত শম্ভু কুমারান সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন ভারতীয় গবেষণা আর উন্নয়েনর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। কোভ্যাক্সিনের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক ফাইলিং করা একটি আনন্দের বিষয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্থানীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও কার্যকারিতার তথ্য থেকে ক্লিনিক্যাটা বিশ্লেষণ অন্বেষণ করছে। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়ালগুলি নভেম্বরের মাধামাধি সময়ে শুরু হয়েছিল। কোভ্যাক্সিন রফতানির ক্ষেত্রে এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠন ও উৎসাহের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও বলা হয়েছে।
সুর চড়ালেও কৃষক সমস্যা সমাধান চাইছেন, কী কী বললেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত ...
নেটদুনিয়া কাঁপিয়ে দিলেন কলকাতার দম্পতি, দেখে নিন তাঁদের নাচের ভাইরাল ভিডিও ...
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন প্রো অ্যাক্টিভ অ্যাকশনের অংশ হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। ডেটা আসার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিত অনুমোদন আসতে পারে। এই জাতীয় পদক্ষেপে বিলম্ব হওয়ার অর্থ করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সেনের বাজারে পিছিয়ে পড়া। কিন্তু ইতিমধ্যেই ফিলিপাইন বাণিজ্যিকভাবে ৩০ মিলিয়ন কোভ্যাক্সিনের ডোজ সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কোভ্যাক্সিনকে পাথেয় করে করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ছাপ রাখতে চলেছে দেশ।