অবৈধ মাদক ব্যবসা থেকে অস্ত্র পাচার, অর্থের জন্য কী কী করেন কিম জং উন- তাই নিয়েই মুখ খুলেন প্রাক্তন গোয়েন্দা

সম্প্রতি কুক গান বিবিসি-এক একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কিম তার শত্রুদের বেশদিন জীবিত থাকতে দেন না।  কে তার শত্রু এটা জানতে পারলেও গোপনে হত্যাকারীকে পাঠিয়ে দেন পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিপ্লবের জন্য অর্থ উপাজর্নের নাম করে অবৈধ মাদকদ্রব্যের ল্যাব স্থাপন করেছেন কিম। 

Saborni Mitra | Published : Oct 11, 2021 9:51 AM IST

উত্তর কোরিয়ার (North Korea) স্বৈরচারী শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) শাসনব্যবস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তাঁরই সরকারের এক প্রাক্তন আমলা। কিম কুক গান- দীর্ঘ দিন ঘরেই উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কিম কুকের কথায় উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা বা গোয়েন্দা সংস্থাই (Spy Agency) হল কিম জং উনের চোখ, কান আর মস্তিষ্ক। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই গোটা দেশকে নিয়ন্ত্রণ করেন কিম। সেই গোয়েন্দা সংস্থায় কিম কুক গান প্রায় ৩০ বছর কর্মরত ছিলেন। তাঁর কথায় তিনি কিমের শাসন ব্যবস্থার নাড়িনক্ষত্র প্রায় সবই জানেন। তাঁর কথায় খুন থেকে শুরু করে অবৈধ মাদক ব্যবসা- সবই নখদর্পনে কিমের। 

সম্প্রতি কুক গান বিবিসি-এক একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কিম তার শত্রুদের বেশদিন জীবিত থাকতে দেন না।  কে তার শত্রু এটা জানতে পারলেও গোপনে হত্যাকারীকে পাঠিয়ে দেন পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিপ্লবের জন্য অর্থ উপাজর্নের নাম করে অবৈধ মাদকদ্রব্যের ল্যাব স্থাপন করেছেন কিম। যে কোনও উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির দিকেই কিম জোকর দেন সর্বদা। কুক জানিয়েছেন তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় ছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালের পর তিনি গোপনে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন সিওলে। দক্ষণ কোরিয়ার গোন্দাদের সহযোগিতা করছেন। তিনি আর উত্তর কোরিয়ার প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। 

ব্যবসা থেকে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, বিশ্বের এই দেশগুলিতে ভ্রণের সঙ্গে পাওয়া যাবে অর্থও

কুকের কথায় কিম শুধু নিজের দেশের দিকেই যে নজর দেন তা নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় শাসক বিরোধী হরতালেরও পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার নেটওয়ার্ক গোটা বিশ্বজুড়েই কাজ করতে পারে। উত্তর কোরিয়ার সরকার মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলিতে মাদক পাচার ও অস্ত্র বিক্রির একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছে। গোটাটাই কিমের মস্তিষ্ক প্রসূত বলেও জানিয়েছেন কুক। উত্তর কোরিয়ার বেআইনি যে কাজগুলি করে সেগুলি হল- অবৈধ মাদক উৎপাদন-বিক্রি, মানুষ পাচার, অস্ত্র পাচার, বন্যপ্রাণী পাচার, আর্থিক জালিয়াতি ও শক্রদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকার আর ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মূল লক্ষ্যই হল দেশের পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্র  উৎপাদনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। 

Taliban: আঁধারে ডুবতে বসেছে গোটা আফগানিস্তান, দিশেহারা তালিবান সরকার এবার রাষ্ট্র সংঘের দ্বারস্থ

Coal Crisis: কয়লার ঘটতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় উত্তপ্ত দিল্লি, সামনে এল AAPর তিন বছর পুরনো টুইট

তিনি আরও জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়া প্রশাসন ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার পপ সংস্কৃতি, সিনেমা, ড্রামা বন্ধ করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা চুলের স্টাইলও নিয়ন্ত্রণ করে সেদেশের বাসিন্দাদের। স্পাইক, মাললেটসহ চুলে রং করার ওপরও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সেই দেশে ২১৫টি চুলের স্টাইলকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 
 

Share this article
click me!