বিমানের মত গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, তবে কি ভোররাতেই ধ্বংস হবে পৃথিবী- জানুন নাসা কী বলছে

Published : Aug 28, 2022, 05:54 PM IST
বিমানের মত গ্রহাণু ধেয়ে আসছে, তবে কি ভোররাতেই ধ্বংস হবে পৃথিবী- জানুন নাসা কী বলছে

সংক্ষিপ্ত

পৃথিবীর চারপাশে গ্রহাণুদের কার্যকলার ইদানিংকালে অনেকটাই বেড়ে গেছে। যা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাশা। এখন ন্যাশানাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা একটি সতর্কতা জারি করেছে।

পৃথিবীর চারপাশে গ্রহাণুদের কার্যকলার ইদানিংকালে অনেকটাই বেড়ে গেছে। যা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাশা। এখন ন্যাশানাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা একটি সতর্কতা জারি করেছে। বলেছ, একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এটি বিশ্বের খুবই কাছাকাছি রয়েছে। গ্রহাণুটির আয়তন একটি বিমানের মতই। 

নাসা আরও জানিয়েছে NEO 2022 QP3 নামে পরিচিত গ্রহাণুটি ভারতীয় সময় ভোর রাত ৩টে বেজে ২৫ মিনিটে গ্রহের খুব কাছ দিয়ে যাবে। এটি প্রায় ১০০ ফুট প্রসস্থ। এটি পৃথিবীর থেকে মাত্র ৫.৫১ মিলিয়ন কিলোমিটার কাছাকাছি চলে আসবে। 

মার্কিন মাহাকাশ সংস্থার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস গ্রহাণুটি থাকার জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। বলেছেন এটি খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। মার্কিন সংস্থা গোটা বিষয়টিকে 'সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু ' হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। এটি চাঁদের দূরত্বের থেকে ১৯.৫ গুণ। মার্কিন সংস্থা আরও বলেছে গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৭.৭৩ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। 

এদিকে, শনিবার পৃথিবীর পাশ দিয়ে ১০০-ফুট-ব্যাসের একটি গ্রহাণুকে NEO 2022 QQ4 যেতে দেখা গেছে। এটি আমাদের গ্রহ থেকে ৫.৯৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ছিল যখন এটি তার সবচেয়ে কাছের পথ তৈরি করেছিল। নাসার সিএনইওএস অনুসারে, দৈত্যাকার গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৭.২৩ কিলোমিটার গতিতে চলেছিল। 


গ্রহাণু হল মহাবিশ্বের শিলা যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। যাইহোক গ্রহগুলির মহাকর্ষীয় টানের কারণ এগুলি অনেক সময়ই গ্রহের কক্ষপথের মধ্যে এসে পড়ে। অনেক সময় গ্রহের সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষও হয়। তার পরিণতি খুব মারাত্মকও হতে পারে বলে অভিমন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। 

তবে এই গ্রহাণুটি তেমন মারাত্মক ক্ষতি করতে পারবে না। যদিও আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না। এটি খুব একটা বড় নয় বলেও নাসার বিজ্ঞানীদের অভিমত। DART মহাকাশযান এটিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছিল। এটি গ্রহের প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোতায়েন করেছে।  DART মিশন হল গ্রহের প্রতিরক্ষা একটি দিক, যেখানে যেখানে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা একটি মহাকাশযানকে সরাসরি একটি গ্রহাণুর কেন্দ্রে উৎক্ষেপণ করবে যাতে এটিকে তার মূল পথ থেকে বিচ্যুত করা যায়।
মহাকাশে মানুষের নগ্ন ছবি, ভিনগ্রহীদের আকর্ষণে অভিনব উদ্যোগ নাসার

ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ, ধর্মতাত্ত্বিকদের সাহায্যে বড় উদ্যোগ NASA-র

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন- ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণ, ১৯ অক্টোবর ফল প্রকাশ

PREV
click me!

Recommended Stories

সাত সকালে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক, ফের সঙ্ঘাতে থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া
হামাসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করুক ভারত, ইজরায়েলের দাবি- নতুন বিপদ আসছে