আলাপ করুন রল্ফ বুখহলজের সঙ্গে। জার্মানির বাসিন্দা তিনি। দেহে ৫১৬টিরও বেশি পরিবর্তন এনে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন তিনি। পুরনো সেই ভিডিও পোস্ট করায় আবারও সংবাদের শিরোনামে চলে আসেন রল্ফ। ২২ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় রল্ফের একটি ভিডিও পোস্ট করে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। তারপর থেকে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ সেই ভিডিওটি দেখেছেন। প্রচুর মানুষ ভিডিওটি পছন্দও করেছেন। অনেকেই আবার বিকৃত মুখ থেকে নাপছন্দ করে দিয়েছেন ভিডিওটি। আর সেই কারণেই রীতিমত ভাইরাস রল্ফের ভিডিও।
জার্মানির বাসিন্দা রল্ফ বুখহলজে। একটি টেলিকম সংস্থার তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর যখন ৪০ বছর বয়স তখন তিনি তাঁর দেহে প্রথম ট্যাটু করেন। আর তারপর থেকেই নিজের দেহে পরিবর্তন আনাটা তাঁর কাছে একটা নেশার মত হয়ে যায়। আর সেই থেকেই একের পর এক অপারেশন করে যান তিনি। আর তারই ফলসরূপ তাঁর মাথায় দুটি সিংও গজিয়ে গেছে।
উৎসবের মধ্যেই স্বস্তি দিল করোনাভাইরাসের গ্রাফ, দেশে সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ
সিন্ধু সভ্যতার বাসিন্দাদের ডায়েটে ছিল পনির আর দুধের খাবার, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী .
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী ২০ বছরেও বেশি সময় ধরে রল্ফ দেহে পরিবর্তন আনার জন্য অপারেশন করেছিলেন। আর সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত তাঁর দেহে ৪৫৩টি ফুঁটো করা হয়েছে। রয়েছে অসংখ্য উল্কি আর বারডারাল রোপন। ২০১০ সালে সর্বাধিক দেহে ফুঁটো করা ব্যক্তি হিসেবে খেতাব জিতেছিলেন তিনি। আর সেই কারণে তাঁর দেহে এতটাই পরিবর্তন হয় যে তাঁকে দুবাইতে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। কিন্তু দুবাইয়ের বাসিন্দাদের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাদের ভিডিও গুলি আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার রল্ফ আবারও নজর কাড়েন জনগণের। তবে রল্ফ জানিয়েছে তাঁর পরিবর্তন বাহ্যিক। মনের কোনও পরিবর্তন হয়নি তাঁর। আগের মতই রয়েছেন তিনি।