আবারও যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী কিং জং উন ঘোষণা করেছেন, দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনও রকম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পারমাণবিক যুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করার ক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত ২৭ জুলাই কোরিয়ার যুদ্ধ বিরতির ৬৯তম বর্ষ পালন করা হচ্ছিল
আবারও যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী কিং জং উন ঘোষণা করেছেন, দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনও রকম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পারমাণবিক যুদ্ধেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করার ক্ষমতা উত্তর কোরিয়ার রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত ২৭ জুলাই কোরিয়ার যুদ্ধ বিরতির ৬৯তম বর্ষ পালন করা হচ্ছিল। সেই সময়ই এই ঘোষণা করেন দেশের স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালের পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে। সেই বিষয়ও ওই অনুষ্ঠানে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী কিম জং উন বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও সংকট প্রতিহত করার বিষয়ে পুরোপুরি তৈরি রয়েছে। দেশের পারমাণবিক য়ুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রকল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ। চরম শক্তির বিরুদ্ধেও দেশের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করা যাবে। আর তাতে সাফল্য আসবে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি নিয়ে এতটাই আশাবাদী কিং জং উন। এই দিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকেই পিয়ং ইয়ং প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা বর্তমানে শেষ পর্যায়ের রয়েছে। কিং-এর এই ঘোষণার আগেই দক্ষিণ কোরিয়া আর আমেরিকারও এই দাবি করেছিল।
ভাষণে কিম বলেছিলেন, যে যুদ্ধের ৭০ বছর পরেও ওয়াশিংটন এখনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভাজন করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। মার্কিনদের এই পদক্ষেপ বিপজ্জনক ও অবৈধ শত্রুতামূলক কাজ বলেও দাবি করেছেন কিম জং উন। কিম বলেন আমি আবারও স্পষ্ট করে দিচ্ছি যে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত"।
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক কার্যকলাপে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে লুকিয়ে। আর সেই কারণেই অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সেসত তোয়াক্কা না করেই কিম জং উন নিজের মতই চলছেন। সেক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। তবে এদিন প্রথম কিম পাল্লা রাজনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিশানা করেছেন। বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈত আচরণেই উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী হতে বাধ্য করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ারও সমালোচনা করেছেন। বলেছেন উত্তর কোরিয়ায় ত্রাস তৈরির জন্য এই কাজ করছে দুই দেশ। তিনি আরও বলেছেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেখান থেকে ফিরে আসা আর সম্ভব নয়।
'যৌন সঙ্গীর সংখ্যা দ্রুত কমান', মাঙ্কি পক্স ইস্যুতে পুরুষদের সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নিঃশব্দে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা, আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে তুড়ি মেরে ওড়ালেন কিম
পার্থ ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে অভিষেক, SSC চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে হতে পারে বৈঠক