দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তানের কোয়েটাতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। হামলায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৮।
আবারও রক্তাক্ত পাকিস্তান। সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তানের কোয়েটাতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। হামলায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। কোয়েটার শাহরাই -ই-ইকবালের কান্ধারি বাজারের পাশে পার্ক করা একটি গাড়িতে রাখা ছিল বিস্ফোরক। পুলিশের গাড়ির কাছেই রাখা ছিল বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটি পার্ক করা ছিল বলে পাকিস্তানের ডন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানান হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বালোচ বিদ্রোহীরাই এই হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
পাকিস্তানের এই হামলায় কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই জাতীয় হামলায় অভ্যস্ত ও দক্ষতা রয়েছে বালুচ বিদ্রোহী ও ইসলামিক জঙ্গিরা। তাই আপাতত তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে হামলাকারীদের টার্গেট ছিল স্থানীয় পুলিশের গাড়ি। কিন্তু বোমাটি দূরে বিস্ফোরণ হয়। তাই বিস্ফোরণে এলাকায় দোকান ও সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বিস্ফোরকটি একটি মোটরসাইকেলে ছিল। হামলায় নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বালুচ প্রদেশে হামলায় পুলিশের দুই কর্মী-সহ চারজন আহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৮। আহতদের স্থানীয় কোয়েটা সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে তিন থেকে চার কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন হামকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ইদ উপলক্ষ্যে কোয়েটাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই হামলার ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন পবিত্র রমজান মাসে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বালুচিস্তান পাকিস্থানের সবথেকে পিছিয়ে পড়া এলাকা। এই এলাকা ইরান সীমান্তে অবস্থি। পাকিস্তানের বৃহত্তম ও দরিদ্রতম এলাকা। এই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই বিদ্রোহীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
রবিবারও এই এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় দুই পুলিশকর্মী নিহত হয়েছিল। একজন আহত হয়। আর্থিক সংকটে রীতিমত বিধ্বস্ত পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ভারতের পথেই হাঁটল পাক-প্রশাসন। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার পাকা বন্দোবস্ত করল নওয়াজ শরিফ সরকার। জুন মাস থেকেই রাশিয়ার তেলেই জীবন ফিরে পাওয়ার আশা করছে পাকিস্তান। নগদ সংকটে পড়ে পাকিস্তান আগামী মাসে রাশিয়ান থেকে অপরিশোধিত তেল কিনবে। মে মাসেই রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের জন্য প্রথম অর্ডার দেবে। পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রচুর বিদেশি ঋণ আর নগদের তীব্র সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে সস্তা ও অনেক বেশি ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।