পাকিস্তানের শ্রমিকদের তুলনায় আরবদেশগুলিতে ভারতীয় শ্রমিকদের চাহিদা কেন বেশি। কারণ জানালেন পাকিস্তানের এক সাংবাদিক।
আরবের দেশগুলি পাকিস্তানের নাগরিকদের তুলনায় ভারতের নাগরিকদের বেশি পছন্দ করে। সামা টিভিতে সাম্প্রতিক আলোচনায় সিনিয়র পাকিস্তানি সাংবাদিক নাজাম শেঠি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে কর্মরত পাকিস্তানিগের নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করেছেন। তার অন্তর্দৃষ্টি হল UAE চাকরির বাজারে পাকিস্তানিদের একাদিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। UAEতে নিয়োগকর্তারা ভারতীয় কর্মীদের পছন্দ করে। শেঠি বলেছেন, কাজের নীতি, ধর্মীয় অনুশীলন ও দুবাইতে পাকিস্তানি শ্রমিকদের সামগ্রিক আচরণে মনোযোগ দেয়।
"শেঠি সে সাওয়াল" শো-তে, একজন সিনিয়র পাকিস্তানি সাংবাদিককে বিশেষ করে ভারতীয়দের তুলনায় পাকিস্তানিদের জন্য ভিজিট এবং কর্মসংস্থান ভিসা স্থগিত করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময়ই বৈষম্যের পেছনের কারণগুলো বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায়, নাজাম শেঠি হাইলাইট করেছেন যে কিছু পাকিস্তানিদের রাস্তায় বিক্ষোভে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর পিছনে রয়েছে ইমরান খানের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। তিনি আর বলেছেন, 'আমি ফেসবুকে দেখছিলাম, UAEতে একজন আধিকারিক দুবাইতে কর্মরত পাকিস্তানিদের জন্য একটি ছোট নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন দুবাইতে পাকিস্তানিদের সমস্যা কী? তিনি বলেছিলেন যে দেশটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেয় না এবং কোনও প্রতিবন্দকতা চায় না৷ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন যে পাকিস্তানিরা ইমরান খানের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে এবং বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন যে ইউএইতে এই রাজনীতি কর্মকাণ্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি তাদের মাটিতে রাজনীতি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে, তারা পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা দেওয়ার নিয়ম কড়া করবে দুবাইতে গণতন্ত্র বা বাকস্বাধীনতা নেই এবং তারা এই ভিত্তিতে তাদের দেশ চালায় যে দুবাই পাকিস্তানিদের মধ্যে লড়াই করতে চায় না এবং ভারতীয়দের সঙ্গে তাদের লড়াই তাদের মাটিতে হয়।'
শেঠি পাকিস্তানি ও ভারতীয় শ্রমিকদের মধ্যে বৈপরীত্যমূলক কাজের নৈতিকতা তুলে ধরেন। তার অ্যাকাউন্ট অনুসারে, পাকিস্তানি শ্রমিকদের প্রায়ই কম পরিশ্রমিক এবং কাজের সময় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে দেখা যায়। তবে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকদের নিয়ে এজাতীয় কোনও সমস্যা নেই। ভারত ও পাকিস্তানের শ্রমিকদের মধ্যে পার্থক্যের বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেছেন। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানিরা ভারতীয়দের মত কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না। ভারতীয়রা শুধুমাত্র কাজেই ফোকাস করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা আরও নানা ধরনের কাজকর্মে লিপ্ত হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে একজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা শ্রমিকরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে ততটা দায়িত্ববান নয়, যতটা দায়িত্ববান ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা। এক সংস্থার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের মতে তাঁর সংস্থায় যখন পাকিস্তানের নাগরিক গার্ডের দায়িত্বে ছিল তখন নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেই সময় গেটের বাইরে দাঁডিয়ে হর্ন দিতে হয়। কিন্তু এখন আর তা হয় না। সংস্থায় তিনি ভারতীয় নাগরিক রেখেছেন। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।