শনিবার থেকেই পাকিস্তান ও চিন আরব সাগরে এক সপ্তাহের জন্য মহড়া শুরু করবে। উত্তর আরব সাগরের পাশাপাশি এই এলাকার আকাশসীমাতেও মহড়া চলাবে দুই দেশ।
আরও প্রকট হচ্ছে চিন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব। এবার শুরু হতে চলেছে দুই দেশের সর্ববৃহৎ নৌমহড়া। সি গার্ডিয়ান -৩ মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই করাচির বন্দরে উপস্থিত হয়েছে চিনা যুদ্ধ জাহাজ। যদিও এই নৌমহড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেনি দুই দেশ। তবে ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যটেলাইট ইমেজ জানিয়েছে পাকিস্তানের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দরে নোঙর করেছে একটি ফ্লিট সাপোর্ট জাহাজ ও একটি সাবমেরিন।
একটি সর্বভারতীয় বেশ কয়েকটি পোর্টালে বলা হয়েছে করাচি বন্দরে চিনা নৌবাহিনী বেশ কিছু সামরিক জলযান নোঙর করেছে। যারমধ্যে রয়েছে ০৩৯ ডিজেল ইলেকট্রেক সাবমেরিন। যদিও বর্তমানে চিনের হাতে রয়েছে টাইপ ৯২৬ টাইপ সাবমেনির। এটি জলের নিচে থাকা যুদ্ধ জাহাজগুলিকে সাহায্য করতে পারে।
সি গার্ডিয়ান -৩ মহড়া
শনিবার থেকেই পাকিস্তান ও চিন আরব সাগরে এক সপ্তাহের জন্য মহড়া শুরু করবে। উত্তর আরব সাগরের পাশাপাশি এই এলাকার আকাশসীমাতেও মহড়া চলাবে দুই দেশ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেন ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মহড়া। এই মহড়াটি পাকিস্তান ও চীনের নৌবাহিনীর মধ্যে দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার প্রতিফলন এবং বৃহত্তর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করবে।
ভারতের ওপর নজর রয়েছে চিনে। দুই দেশের সম্পর্ক খুব স্বাভাবিক নয়। সেই কারণে চিনের নৌবাহিনীর করাচির বন্দরে উপস্থিতি ভবিষ্যতের জন্য ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চিনের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (SCMP) অনুসারে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত মহাসাগরের চারপাশে পা রাখচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চিনা কোম্পানিগুলি পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক বন্দরগুলির নিয়ন্ত্রণ করে। বেইজিং ২০১৬ সালে জিবুতিতে তার প্রথম বিদেশী সামরিক ঘাঁটি অধিগ্রহণ করে। ভ্যাঙ্কুভারের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্বরণ সিং-এর মতে, এই বর্ধিত পদচারণা ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সাইট সহ নজরদারি করতে পারে।