আটা, বিদ্যুৎ, তেলের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে, মিলছে না বিশ্বব্যাঙ্কেরর ঋণও, পথে বসতে চলেছে পাকিস্তান?

পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিয়ে বিশ্বব্যাংক ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন স্থগিত করেছে। পাকিস্তানে আমদানিতে বন্যা শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছে বিশ্বব্যাংক।

পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতদিন মানুষ গম ও আটা নিয়ে চিন্তিত ছিল। এখন বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। নতুন শুল্ক অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুত হয়েছে ৪৬ টাকা। পাকিস্তান বিশ্বব্যাংকের কাছে আশা করছিল, ঋণ পেলে কিছুটা স্বস্তি পাবে। বিশ্বব্যাংকের কাছে ১.১ বিলিয়ন ডলার দাবি করেছিল পাকিস্তান। এখন বিশ্বব্যাংকও পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সবচেয়ে খারাপ আখ্যা দিয়ে আপাতত ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। ঋণ না পেলে এখন পাকিস্তানের জন্য সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো না হয়ে যেতে পারে এবং মানুষ যেন খাবার-দাবার জন্যও রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু না করে।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিয়ে বিশ্বব্যাংক ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন স্থগিত করেছে। পাকিস্তানে আমদানিতে বন্যা শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে যে এটি ৩২ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক সহায়তাকে ধাক্কা দিয়েছে। বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর পাকিস্তানি নাগরিকের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে, যার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিলও দুর্বল হচ্ছে।

Latest Videos

পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে

মূল্যস্ফীতির কবলে পড়া সাধারণ মানুষকেও ধাক্কা দিয়েছে বিদ্যুৎ। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (NEPRA) করাচিতে বিদ্যুতের হার প্রতি ইউনিটে প্রায় ৩.৩০ টাকা বাড়িয়েছে। অন্যান্য কিছু শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্যও বিদ্যুতের হার ১.৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪.৫ টাকা করা হয়েছে।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমের মতে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আগে অনেক এলাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত ৪৩ টাকা। এতে প্রতি ইউনিটে ১৮ টাকা ভর্তুকিও সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে দিচ্ছে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করার জন্য ভারত সুপারম্যান হয়ে এগিয়ে এসেছিল, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে এমন পরিস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে আসবে না। অনেক ভারতীয় কোম্পানি পাকিস্তানে বিনিয়োগ করেছে। টাটা, জিন্দাল, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, বিড়লার মতো অনেক কোম্পানি পাকিস্তানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের দুর্দশা এই সংস্থাগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। আসলে পাকিস্তানিরাও এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে।

পাকিস্তানে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে শপিং মল এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে আটকে আছে, যেখান থেকে উত্তরণের পথ দেখা যাচ্ছে না। পাকিস্তানে আটা, চিনি ও ঘি-এর মতো দৈনন্দিন জিনিসের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাকিস্তান ক্রমবর্ধমান ঋণ, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জিডিপি বৃদ্ধির মন্থরতার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
বিচ্ছেদের পরও ভয়ঙ্কর আক্রমণ প্রাক্তন জামাইয়ের! আতঙ্কে গোটা পরিবার | Hooghly News Today
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি