
মুম্বই হামলার আরও এক ষড়যন্ত্রকারীর মৃত্যু। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর - ই - তৈবার গোয়েন্দা প্রাধান আজম চিমা মারা গেছে। পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ শহরের। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭০ বছর বয়সী সন্ত্রাসবাদীর। ২৬/১১র মুম্বই হামলার পাশাপাশি ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের ট্রেন বিস্ফোরণের ঘটনারও ষড়যন্ত্রকারী ছিল এই ব্যক্তি। ভারতের একটি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফয়সালাবাদেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
২০০৬ মুম্বইয়ের ট্রেনে হামসা ও ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা- এই দুটি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল চিমার নাম। হামলার প্রায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০০। দুটি হামলাতেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী। তারপর থেকে ভারতের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নজর ছিল চিমার ওপর। আজম চিমা জঙ্গি প্রশিক্ষণের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। একাধিক জঙ্গিকে নিজের হাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০১০ সালে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট লস্কর-ই-তৈবার আর্থিক নেটওয়ার্কগুলিকে টার্গেট করেছিল। সেই সময়ই প্রকাশ্যে আসে চিমার নাম। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে চিমা লস্করের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে বোমা তৈরির অপারেটিভদের প্রশিক্ষণ দেয়। ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলে।
তবে ২৬/১১র ষড়যন্ত্রকারী বা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে জঙ্গিদের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানে। যা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া ও তাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যার কারণ আন্তর্জাতিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই দেশটি। পাকিস্তানের আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকটও চলছে। এই অবস্থায় পরপর বেশ কয়েকজন বিশ্বের মোস্টওয়ান্টটেড তালিকাভুক্ত জঙ্গি নিধন হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে একজন লস্কর কমান্ডার নিহত হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সন্ত্রাসী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যের রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেমবরে মুহাম্মদ রিয়াজ, আবু কাসিম কাশ্মীরি নামেও পরিচিত, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) রাওয়ালাকোটের একটি মসজিদে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছিলেন। এই ব্যক্তিও লস্করের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদিও একাধিক হামলায় পাকিস্তান ভারতকে দায়ী করে। যদিও ভারত সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।