ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রভাব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসেও, ভারতে ৫ টাকায় পাওয়া যাওয়া পার্লে জি-এর পাকিস্তানে দাম শুনলে আতকে উঠবেন

সমীক্ষা বলছে অতমারির প্রকোপের আগে ও কোভিড অতিমারি চালাকালীনও বিশ্বের মধ্যে বিক্রি হয়েছিল পার্লেজি। তবে বিশ্বের সব দেশে কি একই দামে বিক্রি হয় এই বিস্কুট।

Ishanee Dhar | Published : Nov 24, 2023 3:10 AM IST

শুধু ভারত নয় বিশ্বজুড়েই পার্লেজি বিস্কুটের খ্যাতি চোখে পড়ার মতো । জীবনে কোনওদিন পার্লেজি খাননি এরম মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। সস্তায় পুষ্টিকর এই বিস্কুট দেশের প্রায় সব প্রান্তেই পাঈয়া যায়।শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এই বিস্কুটের রমরমা বাজার। সমীক্ষা বলছে অতমারির প্রকোপের আগে ও কোভিড অতিমারি চালাকালীনও বিশ্বের মধ্যে বিক্রি হয়েছিল পার্লেজি। তবে বিশ্বের সব দেশে কি একই দামে বিক্রি হয় এই বিস্কুট। একদিকে ভারতে যেমন তিন থেকে পাঁচ টাকার মধ্যেই। নয়ের দশকে মাত্র দু'টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে এই পার্লে জি বিস্কুটই বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০ টাকার উপরে। যেখানে ভারতে এই বিস্কুটের ছোট প্যাকেট অর্থাৎ ৬৫ গ্রামের দাম ৫ টাকা। আমেরিকায় এই বিস্কুটের ৫৬ গ্রামের আটটি প্যাকেটের দাম মাত্র ১ ডলার। অর্থাত ভারতীয় মুদ্রায় এক একটি প্যাকেটের দাম প্রায় ১০ টাকার উপর। তবে পাকিস্তানে এই বিস্কুটের ছোট প্যাকেটের দাম ২০ টাকা। কিন্তু কেন পাকিস্তানে এতটা বেশি এই দাম?

কেন এই বিপুল মূল্যবৃদ্ধি

পার্লেজি র বিস্কুটের এই বাড়তি দামের জন্য পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বর্ধিত কাঁচা মালের দামের কারণেই এই বাড়তি দাম বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য পাকিস্তানের বাজারে আকাশ ছোয়া দাম গমের।

পাকিস্তানের ঋণ

উক্ত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে IMF চলতি অর্থবর্ষের জন্য পাকিস্তানের বাহ্যিক ঋণের প্রয়োজনীয়তা ২৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করেছে। গত জুলাই মাসেও এই ঋণের পরিমাণ ছিল ২৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত চার মাসে পাক সরকারের ঋণের পরিমান ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু কেন এমন ভগ্নপ্রায় দশা পাক অর্থনীতির, উত্তরে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী শামশাদ আখতার জানিয়েছেন, বহু সংস্কার সত্ত্বেও পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কোনও উন্নয়ন নেই। বড় ধরণের আর্থিক সংস্কার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাক অর্থনীতিতে সংস্কার

পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য কোনও বড় ধরণের আর্থিক সংস্কার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ২০২৩ সালে ২.৫ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করছে IMF। এর জন্য একটা বড় কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে নগদ সঙ্কট। উল্লেখ্য IMF-এর এই অনুমান বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির অনুমানের বিপরীত।

Share this article
click me!