পাকিস্তানের পরিস্থিতি কি শ্রীলঙ্কার মতই হবে? মূদ্রাস্ফীতির হার টেক্কা দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রকে

মে মাসে পাকিস্তানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৭. ৯৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কাকেও ছাপিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত।

 

Web Desk - ANB | Published : Jun 2, 2023 7:24 AM IST

শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংকট নয়, পাকিস্তানে ক্রমশই তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটও। মে মাসে পাকিস্তানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৭. ৯৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে পাক- সরকার। ক্রমশই বিদেশী ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি দুর্বল হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার ভাণ্ডার। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার।

মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ করা হয়ে যে কোনও দেশের পণ্য ও পরিষেবা করের ওপর ভিত্তি করে। সমগ্র বিষয়টিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বছরে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং তামাকের ওপর। যার হার ১২৩. ৯৬ শতাংশ বিনোদন এবং সংস্কৃতিতে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৭২য়১৭ শতাংশ এবং পরিবহনে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৫২.৯২ শতাংশে। খাবারের বিভাগে গত মাসের তুলনায় মে মাসে যেসব দ্রব্যের দাম বেড়েছে তারমধ্যে রয়েছে- সিগারেট, আলু, গম, আটা, চা, ডিম আর চাল। মোটকথা নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের দামই আকাশ ছোঁয়া।

খাদ্যদ্রব্য ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পাঠ্যপুস্তক, স্টেশনারি, পেট্রোল, ডিজেল, সাবান, ডিটারজেন্ট ও দেশলাই বক্সের। গত বছর পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৩৬ .৪ শতাংশ। ১৯৫৭ সালের পর পাকিস্তানে এই প্রথম এমন মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে।

এই অবস্থায় পাকিস্তান পিছলে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। কারণ ২০২৩এর মে মাসে এশিয়ার সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিলেই পাকিস্তানের মূদ্রাস্ফীকে শ্রীলঙ্কাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার মূদ্রাস্ফীতি বর্তমানে ২৫. ২ শতাংশে নেমে এসেছে। মোদী সরকারের অধীনে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার বর্তমানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪.৭ শতাংশের অধীনে। যা সর্বনিম্ন।

যদিও পাকিস্তানের নেতৃত্ব এখনও মনে করেছে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি তৈরি হবে না তাদের দেশে। কারণ চলতে মাসে আইএমএফের বোর্ড মিটিং না হওয়ার কারণে অর্থনীতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। কিন্তু চিন থেকে আর্থিক সাহায্য আসার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতাও দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। কারণ ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পরে গোটা দেশেই অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট আরও জোরাল হচ্ছে।

Share this article
click me!